ভালোবাসি ভালোবাসি এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাজায় বাঁশি, ভালোবাসি ভালোবাসি…ভালোবাসার গানে, ভালোবাসার মহাঅনুভূতির কাছে নিজেকে নিশ্চিন্তে সঁপে দিতে এসেছে ভালোবাসার বিশেষ দিবস ভ্যালেন্টাইন ডে। দখিনা বাতাসে, বাঁশির সুরের মূর্ছনায় দুলে উঠেছে প্রতিটি প্রেমিক-প্রেমিকার মন। আনমনে তাই তারা গেয়ে ওঠে- ‘ভালোবাসি ভালোবাসি, এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি। পৃথিবীব্যাপী আজকের এই দিনটি সব যুগলের জন্য একটু বেশিই বিশেষ।গতকাল সোমবার ছিল পহেলা ফাল্গুন, তাই আজও রয়েছে ফাল্গুনের আবির-উচ্ছ্বাস। তার ঠিক একদিন পরই আরেক সুখের আগমন আজ। ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় দিনে ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, শাহবাগ, অমর একুশে বই মেলা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূল মুখরিত হয়ে আছে সকাল থেকেই। বসেছে তরুণ-তরুণী, যুগলের মেলা। ভালোবাসার এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে প্রেমিক যুগলের যেন আনন্দ আর ধরে না। মেয়েরা লাল শাড়ি, লাল গোলাপ হাতে আর পুরুষেরা বাহারি পাঞ্জাবী পরে ভালোবাসার আনন্দের জোয়ার ভেসে যাচ্ছে সবাই।ভালোবাসা ক্ষণিকের নয়। ভালোবাসা চিরন্তন। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার নয়- শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই নয়, এই ভালোবাসা বয়সের ফ্রেমে বাঁধা নয়, এটা প্রসারিত হবে বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনসহ সবার মাঝেই। তবে ভালোবাসা দিবসে যুগলদের মনের এই উচ্ছ্বাসকে বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান হায়দার। তিনি বলেন, ভালোবাসাকে নির্দিষ্ট দিনক্ষণের মধ্যে আটকানো সম্ভব নয়, তারপরও আজ ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছি, নিজেদের মত করে সময় অতিবাহিত করার জন্য। তার সঙ্গে থাকা ভালোবাসার মানুষ মেহরুন আক্তার বলেন, এই বিশেষ দিনে সকাল থেকেই আমরা ঘুরছি, সে আমাকে অনেক লাল গোলাপ দিয়েছে, বাঁশি শুনিয়েছে। এই হলো আমাদের ভালোবাসার বিশেষ দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।এএস/এআর/জেএইচ/পিআর
Advertisement