বাসন্তি রঙয়ের পাঞ্জাবি আর পাজামা পরিহিত দুই তরুণ-তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির রাজু ভাস্কর্য চত্বরের সামনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারের সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের কোলে ফুটফুটে দুটি শিশু। গত ১৭ বছর যাবত তারা এ দিনটিতে এভাবেই একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসার ভাব বিনিময় করেন। তাদের জন্য এ দিবসটি খুবই স্মরণীয়। কারণ এ দিনটিতেই ২০০০ সালে তাদের পরিচয়, আড়চোখে ভাব বিনিময়, চোখাচোখি, ভালোলাগা, ভালোবাসা ও বিয়ে। সময়ের পরিক্রমায় তাদের ঘর আলো করেছে দুই ছেলেমেয়ে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টা। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সাদেক মাহমুদ পাভেল ও শিলা নামের ওই দম্পতি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সূত্র ধরে তাদের পরিচয়, ভালবাসা ও প্রণয়ের ঘটনাটি তুলে ধরেন। পাভেল জানান, ২০০০ সালে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের গানের অনুষ্ঠান উপলক্ষে শিলা রিহার্সাল দিতে আসলে তার ভালো লেগে যায়। তারপর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে দ্রুত বিয়ের কাজটিও সেরে ফেলেন বলে জানান। এ দম্পতি জানান, দুই ছেলেমেয়ে ইশাল আর ইশাতকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছে তাদের।বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুবদি আহমেদ জানান, বিশ্ব ভালবাসা উদযান পরিষদ নামে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৫ সাল থেকে তারা দিবসটি পালন করে আসছেন। শুরুর দিকে টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বিশাল আয়োজন করে দুপুর থেকে রাত অবধি অনুষ্ঠান পালিত হত। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিনিষেধের কারণে বড় পরিসরে পালন করা বন্ধ হলেও তারা প্রতিবছর উদযাপন পরিষদের ব্যানারে এ দিবসটি পালন করেন। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমাজ, পরিবার, দেশ ও বিদেশে ভালবাসার মাধ্যমে শান্তি ছড়িয়ে দিতে তারা এ দিবসটি পালন করে আসছেন।’ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একজন আহমেদ সাব্বির রোমিও জানান, তিনিও শুরু থেকে এ সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত। ঝগড়া-বিবাদ নয়, ভালোবাসার মাধ্যমে সমাজ ও পরিবারের সব সমস্যা দূর হোক এই প্রত্যাশা করেন তিনি।এমইউ/জেডএ/এমএস
Advertisement