ধর্ম

মানবতার কল্যাণেই আল্লাহর বিধান প্রণয়ন

ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশ্ব মানবতার শান্তি ও কল্যাণ সাধনের এক নিখুঁত পরিকল্পনা পেশ করেছে ইসলাম। মানবতার উন্নয়ন ও মানুষের সঠিক কল্যাণ সাধনের উদ্দেশে ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে।যারা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু, মানবতার শত্রু তথা সমাজের শান্তি বিনষ্টকারী ও মানবতা বিরোধী কর্ম-কাণ্ডে লিপ্ত হয়, এমন অবস্থায় ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষা কল্পে মানবতার বৃহত্তর কল্যাণের তাগিদেই আল্লাহ তাআলা জিহাদের বিধান ফরজ করেছেন।দ্বীন ও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য জীবনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা আবশ্যক। যাকে ইসলামের পরিভাষায় জিহাদ বলে থাকে। তবে কোনো মুসলমানের বিরুদ্ধে কুরআনে জিহাদের বিধান প্রদান করা হয়নি। এমনকি ইসলামের নামে অন্যায়ভাবে যে কাউকে হত্যা করার নামও জিহাদ নয়।যখন কোনো বান্দার কাছে ইসলামের জন্য সংগ্রাম করার আহ্বান করা হয়, তখন সে ডাকে সাড়া দেয়াও প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। যদিও এ আহ্বান অনেকের কাছেই অকল্যাণ মনে হতে পারে। বস্তু কল্যাণ ও অকল্যাণ আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-আয়াতের অনুবাদ-আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২১৬ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর পথে সংগ্রাম করাকে ফরজ করেছেন। আয়াতের যোগসূত্র হলো, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যতদিন পবিত্র মক্কায় ছিলেন, ততদিন তাঁর প্রতি ইসলামের জন্য যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়নি।অবিশ্বাসী কাফের সম্প্রদায়ের দ্বারা চরম অত্যাচার নির্যাতন হওয়া সত্ত্বেও জিহাদের অনুমতি প্রদান করা হয়নি। তিনি যখন মদিনায় হিজরত করেন, তখন তাকে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়। তাও আবার ওই সব অবিশ্বাসীদের সঙ্গে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়, যারা নিজেরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসে।পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা সাধারণভাবে সর্বস্তরের অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদের অনুমতি দেন। তবে অমুসলিম সম্প্রদায় যদি মুসলমানদের ওপর আগ্রাসন বা আক্রমণ চালায় তবে তাদের সঙ্গে জিহাদ করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। কিন্তু কোনো মুসলমানের সঙ্গে জিহাদের প্রশ্নই আসে না।এ আয়াতে জিহাদের নির্দেশের একটি উপমা পেশ করে ঈমানদারকে বুঝানো হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলার প্রত্যেকটি নির্দেশের ওপর আমল করা আবশ্যক। যদিও তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় ও ভারি মনে হয়।আর আল্লাহর প্রত্যেকটি নির্দেশের পরিণাম ও ফলাফল শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। যা অন্য কেউ জানে না। হতে পারে আল্লাহর নির্দেশ পালনে বান্দার জন্য রয়েছে কল্যাণ। যা বান্দা নিজের জন্য অপছন্দ করে।পড়ুন- সুরা বাকারার ২১৫ নং আয়াতপরিষেশে...আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের সব বিধান সঠিক উপায়ে যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর বিধান পালনে কল্যাণ ও অকল্যাণ সব কিছু তাঁরই নিকট সোপর্দ করার তাওফিক দান করুন। তাঁর বিধান বাস্তবায়নে পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে পরিপূর্ণ  ঈমানদার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement