মর্যাদা পাওয়ার ১৭ বছর পর বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যতা দেখাতে পেরেছে ভারত। তাও একটি মাত্র টেস্টের জন্য। অথচ ভারতের সহযোগিতায় টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল বাংলাদেশ। এমনকি ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের প্রথম প্রতিপক্ষও হয়েছিল ভারত; কিন্তু তারাই কি না, গত দীর্ঘ ১৭টি বছর বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ আমন্ত্রণ জানায়নি।। অজুহাত একটাই, বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানালে দর্শক হবে না। অর্থনৈতিকভাবে লস হবে।শেষ পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা যখন বাড়লো, ঘরের মাঠে যখন বাংলাদেশ ভারতকে সিরিজে পরাজিত করলো, তখন থেকেই দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বাংলাদেশকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর। অবশেষে সৌজন্যতা বোধটা তাদের জেগেছে এবং মাত্র একটি টেস্ট খেলার জন্যই আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা।হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত এই টেস্টটি ভারতীয় ক্রিকেট কর্মকর্তাদের চোখের সামনে থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচে দর্শকের যে আগ্রহ দেখা গেছে কিংবা প্রতিদিন যেভাবে দর্শক উপস্থিত হয়েছে মাঠে তাতে এটাই প্রমাণিত হলো যে, ভারতের সব শঙ্কা অমূলক। তারা যে অজুহাত দেখিয়েছিল, সবই মিথ্যা। দর্শকরা অনেক কিছুই প্রমাণ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে মুশফিকরাও প্রমাণ করেছেন, ভারতের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করতে পারেন তারাও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের তারা এই বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, এবার আর আমাদের উপেক্ষা করতে পারবে না। এবার নিয়ম অনুসারেই আমাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারো।তবুও কেন যেন শঙ্কা। আবার কবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নটা উঠলো মুশফিকুর রহীমের কাছে। তিনি অনেকটাই আক্ষেপ করলেন। এমনভাবে বললেন, যেন নিজের ক্যারিয়ারে আর কোনো দিন ভারতে এসে খেলা হবে কি না সন্দেহ।ভারতে আবারও আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে মুশফিকের মন্তব্য, ‘আমারও ইচ্ছা অবসের আগে যেন আমি অন্তত আরও একটা টেস্ট ভারতের মাটিতে খেলেত পারি। এটা হলে অবশ্যই সম্মানিত হবো। আশা করছি তারা যদি আমন্ত্রণ জানায়, তাহলে এখানে এসে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’ভারতের বিপক্ষে এই টেস্ট খেলতে পেরে অনেক কিছু শিখেছেন বলেন মনে করেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি নম্বর ওয়ান টিমের সাথে খেলে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। তারা কিভাবে কাজ করে, কিভাবে অন এবং অফ দ্য ফিল্ড থাকে এবং তারা বোলিং-ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়ে সবকিছু কিভাবে করে এসবই আমাদের জন্য অনেক বড় শেখার জায়গা ছিল। যদিও আমরা খুব বেশি খারাপ খেলি নাই এই টেস্টে।’আইএইচএস/এনইউ/জেআইএম
Advertisement