দেশজুড়ে

ঝিকরগাছায় এহসান সোসাইটি গ্রাহকের ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও

যশোরের ঝিকরগাছায় এহসান সোসাইটি নামে একটি সংগঠন প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমানত সংগ্রহের নামে দুই হাজার ব্যক্তির কাছ থেকে এ টাকা নেয়া হয়েছে। গত দেড় মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সংগঠনটির উপজেলা সমন্বয়কারী ঝিকরগাছা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের (বড় সমজিদ) পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক।জানা গেছে, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক ১৯৯৯ সালে ঝিকরগাছা উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে (বড় মসজিদ) পেশ ইমাম হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩-০৪ সালে তিনি এহসান এস বাংলাদেশের ঝিকরগাছা শাখার এহসান সোসাইটির উপজেলা সমন্বয়কারী হিসেবে উল্লেখ করে  ২০ জন এজেন্ট নিয়োগ করেন। নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টরা সকলেই মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক অথবা ধর্মীয় বেশধারী। এরা ১০ বছরে ডবল অথবা শতকরা ১৮ টাকা লভ্যাংশের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ শুরু করেন। জানা গেছে, এজেন্টদের আদায়কৃত টাকা ইসলামী ব্যাংক ঝিকরগাছা শাখায় ২২০৭ হিসাব নম্বরে জমা হত। হিসাব নম্বরটি মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক ব্যক্তিগত হিসাব হিসেবে ব্যবহার করতেন। হিসাব মতে, গত ১১ বছরে এ নম্বরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সূত্র আরও জানিয়েছে, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক যশোর ঘোপে ‘যশোর হাউজিং এস্টেটে’ ৮ শতক জমি কিনেছেন। যার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া বিভিন্নস্থানে সংস্থাটির নাামে সাইনবোর্ড থাকলেও ওই সমস্ত জমি মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাকের নামে। সংগঠনটির এজেন্ট উপজেলার রঘুনাথনগর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মহাসিন আলম মুক্তি জানান, মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক তাদেরকে বলেছিলেন, গ্রাহকের টাকায় জমি কিনে লভ্যাংশে টাকা দ্বিগুণ হবে। যা সুদ নয়, লভ্যাংশ। এসব কথা শুনে তিনি ৯৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা সংগঠনটির ক্যাশিয়ার উপজেলার আশিংড়ি গ্রামের মতিয়ারের কাছে জমা করেন। তিনি গ্রাহকদের অর্ধেক টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেন। উপজেলার বল্লা গ্রামের গ্রাহক শফিউদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি ৬২ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন তার মধ্যে ৩২ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন। এদিকে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে মাওলানা মোহাম্মাদ ইসহাক ও তার সহযোগী ঝিকরগাছা পুরাতন ছাগলের হাট জামে মসজিদের ইমাম এহসানুল হক গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ফলে গত দেড় মাস ধরে গ্রাহকরা এ দু’জনের সন্ধানে হন্যে হয়ে ছুটছেন। কিন্তু তাদের কোনো হদিস না পাওয়ায় এখন তারা তাদের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।এমএএস/আরআইপি

Advertisement