জাতীয়

কাঠের গুদামে কাজ করতেন মজীনা

কাঠের গুদামে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করতেন বলে জানেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। মঙ্গলবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সময় তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, প্রতি গ্রীষ্মে আমি কাঠ, পেরেক, স্ক্রু, হাতুড়ি, ড্রিল ও রঙ নিয়ে কাজ করতাম। এখন পর্যন্ত আমি তৈরি করতে ভালবাসি। পার্থক্য এটুকুই যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি এখন আর বাড়ি, চালা-ঘর এবং ছাউনি তৈরি করি না। আমি সম্পর্ক তৈরি করছি।মজীনা বলেন, আমি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির দিকে তাকাই আমি আরও একটি বিশাল কাঠের গুদাম দেখতে পাই। তোমাদের কাঠের গুদাম হাতুড়ি, পেরেক, ড্রিল, তক্তার পরিবর্তে অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে পরিপূর্ণ। আমার কাঠের গুদামে যে যন্ত্রপাতি ছিল তার চেয়ে তোমাদের যন্ত্রপাতি অনেক বেশি শক্তিশালী। শিক্ষার্থী হিসেবে তোমরা সবচেয়ে শক্তিশালী যন্ত্রপাতির ভাষা, ধারণা, দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করছো।তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা এসব যন্ত্রপাতি শান দেওয়ার কাজ করছো। এই ধারালো যন্ত্রের মাধ্যমে তোমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড় তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত হবে। সেটা সরকারি চাকরির মাধ্যমে, সুশীল সমাজে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, ব্যবসা, কৃষি কাজসহ যেকোনো মাধ্যমেই হতে পারে।মজীনা আরও বলেন, আমি জানি তোমরা ভালো কাজ করবে। এই জাতিকে গড়ে ত‍ুলবে। তোমাদের সমৃদ্ধ একটি জাতি রয়েছে। ঊর্বর মাটি, প্রচুর পানি, ফসল উৎপাদনের উপযুক্ত জলবায়ু, কয়লা, গ্যাস এবং পৃথিবীর সবচেয়ে কর্মঠ, সৃষ্টিশীল, উদ্যোগী ও সহনশীল জনগণ রয়েছে। সত্যিই বিধাতা বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এশিয়ার পরবর্তী অর্থনৈতিক বাঘ হবে।

Advertisement