ঢাকাসহ তিনটি বোর্ডের অধীনে রোববার অনুষ্ঠিত গণিত (আবশ্যিক) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই পরীক্ষা আবারও নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী একান্ত আলোচনায় জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাব্য বিভিন্ন উৎস আমরা বন্ধ করেছি। এর সফলতাও পেয়েছিলাম। গত দু-তিন বছর ধরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। কিন্তু এখন তীরে এসে তরি ডোবার মতো অবস্থা হয়েছে। সব দিক বন্ধ করে শিক্ষকদের হাতে প্রশ্ন তুলে দিয়েছি। এখন সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ আসছে। আমরা বরদাস্ত করবো না। দোষীদের ধরবোই। পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।নাহিদ আরো বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে এ রকম অসৎ ব্যক্তির সংখ্যা সীমিত। অসৎ শিক্ষকদের ধরিয়ে দিতে সব শিক্ষকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অসৎ শিক্ষকদের কাছ থেকে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।ইতোমধ্যে সরকারি ছাপাখানার একজন কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে আটকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দু’একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের সামনে নিয়ে আসা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত রোববার এসএসসিতে সারাদেশে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। তবে অনেকেই দাবি করছেন, আগের রাতেই শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নপত্র পেয়েছে। এছাড়া বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র প্রশ্নফাঁসের অভিযোগও উঠেছে। এরমধ্যে গণিতের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ওঠে। সোমবার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সকালেই মন্ত্রণালয়ে ডাক পরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের। দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার সরকারকে নিয়ে মিটিংয়ে বসেন শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান। এমএইচএম/এআরএস/এমএস
Advertisement