দেশজুড়ে

নানার কবরের পাশে দাফন হবে পাইলট হৃদির

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কানাইয়া গ্রামে নানার কবরের পাশে দাফন করা হবে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত নারী পাইলট তামান্না রহমান হৃদিকে (২২)।বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরার নিকুঞ্জ-২ এলাকায় প্রথম জানাজা নামাজ শেষে তার লাশ গাজীপুরের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। কানাইয়া মাদ্রাসা মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে নানার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।হৃদি’র মামা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ লিয়াকত হোসেন ভূঁইয়া জানান, বুধবার রাজশাহীতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তার ভাগ্নি মারা যান। হৃদির একমাত্র ভাই হাফিজুর রহমান উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা ডা. আনিসুর রহমান মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি গাজীপুরের সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মাস আগে তিনি তিনি পদোন্নতি লাভ করে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন।বাদ আসর কানাইয়া মাদ্রাসা মাঠে হৃদির জানাজা শেষে তার লাশ নানা ডাক্তার আরিফ ভূঁইয়ার কবরের পাশে দাফন করা হবে।বুধবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মাখদুম বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এক নারী বৈমানিকের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন এক প্রশিক্ষক।ঢাকায় ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুলে ‘এ’ লেভেল শেষ করা তামান্না বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমির পারসোনাল পাইলট লাইসেন্স কোর্সে (পিপিএল) ভর্তি হন দুই বছর আগে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ১৬ ঘণ্টা ওড়ার পর মঙ্গলবার এককভাবে বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। এই কোর্স শেষ করতে একজন বৈমানিককে নিজে ৫০ ঘণ্টা বিমান চালাতে হয়। এর অংশ হিসেবেই প্রশিক্ষককে পাশে নিয়ে সেসনা ডি-১৫২ উড়োজাহাজটিতে উঠেছিলেন তিনি।তামান্নার বাবা আনিসুর রহমান জানান, তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে তামান্না সবার ছোট। বড় ছেলে লেখাপড়া করছে একটি বেসরকারি মেডিকেলে। এর আগে ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এয়ার পারাবাতের একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকার পোস্তগোলায় বিধ্বস্ত হলে বৈমানিক ফারিয়া লারা ও রফিকুল মারা যান।এমএএস/আরআই

Advertisement