ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। ফুলকে ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভালোবাসা ভালোলাগার সঙ্গে ফুল অঙ্গাঙ্গীভাবেই জড়িত। পহেলা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জীবনে সেই ভালোবাসার প্রকাশটা যেন একটু বেশিই।পহেলা ফাল্গুনের একদিন পরে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ বিশেষ দুই দিনকে রাঙাতে নানা আয়োজনের কথা ভাবছেন তরুণ-তরুণীরা।যার মূল অনুষঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল।তাই ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফুলের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।শুধু শহরের ফুলের দোকানেই নয়, পাশাপাশি মৌসুমি অসংখ্য ফুল বিক্রেতা পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেন। ফলে এই দুই দিনে ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়বে পাড়া-মহল্লায়ও। মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরসহ এর আশেপাশে ছোট ছোট অনেক ফুলের দোকান বসবে জানিয়ে মিরপুরের ফুল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ১০ নম্বরে আমরা চারজন ফুলের ব্যবসা করি।কিন্তু এ দুই দিনে বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে এ এলাকায় ও এর আশপাশে অনেকেই ফুলের ব্যবসা করেন। একটা গোলাপ ২/৩ টাকায় কিনে বিক্রি করি ১০ টাকায়। ভালোবাসা দিবসের গোলাপ ১২/১৫ টাকায় কেনা পড়বে, যা বিক্রি হবে ৪০/৫০ টাকায়। বছরের ব্যবসা এ বিশেষ দিনগুলোতেই হয় বলেও জানান তিনি। কী কী ফুল বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোলাপ, বিশেষ করে লাল গোলাপের চাহিদা বেশি থাকে। এছাড়া রজনীগন্ধা, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুলের তোড়ার চাহিদাও থাকে ব্যাপক। রবিউল ইসলাম নামের এক মৌসুমি ফুল ব্যবসায়ী বলেন, ভালোবাসা দিবসে বন্ধুরা মিলে পাড়ায় ফুলের দোকান দেব। বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা এভাবে ব্যবসা করছি। একদিনের ব্যবসায় ভালোই আয় হয়।অন্যদিকে শাহবাগ বটতলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে বড় ব্যবসায়ীরা ফুল সংরক্ষণ করেছেন। এ বছর দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় ব্যবসা ভালো হবে।রাজধানীর প্রায় সব ব্যবসায়ীর বেশির ভাগ কাঁচা ফুল আসে যশোর, ঝিনাইদহ, নারায়ণগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও নাটোর থেকে।তাই জেলাগুলোর সরবরাহকারীদের কাছে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত অর্ডার দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় সব ব্যবসায়ীই ফুল সংরক্ষণে রেখেছেন।এএস/এএইচ/পিআর
Advertisement