ফিচার

বাসন্তি শাড়ি রেশমি চুড়িতে ফাগুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ললনারা

‘আপা, কাইল (কাল) তো শাড়ির লগে এই চুড়ি পইরা সুন্দর কইরা সাজবেন। দাম দশটা ট্যাকা বেশি দেন না।’ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন গোল চত্বরের সামনে রেশমি চুড়ি বিক্রেতা আসমা রাজধানীর ডেমরা এলাকার একটি বেসরকারি কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিতু ও রূপাকে লক্ষ্য করে এ কথাগুলো বলছিলেন।চুড়িওয়ালির কথা শুনে দুজনই হেসে উঠে বলে, পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে বাসন্তি শাড়ি আর ফুল কিনে টাকা শেষ। এক মুঠো চুড়ি ২৫ টাকা হলে দিতে পারেন- বলে পা বাড়াতেই চুড়িওয়ালি নেন বলে চুড়ি এগিয়ে দেন।বছরের অধিকাংশ সময় চত্বরটি ফাঁকা থাকলেও আজ এটি রেশমি চুড়ি বিক্রেতাদের দখলে। চত্বরের চৌহদ্দীজুড়ে নারী ও পুরুষ চুড়ি বিক্রেতারা সারিবদ্ধভাবে বসে রঙ-বেরঙের চুড়ি বিক্রির জন্য তরুণী-তরুণীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন।আজ বাদে কাল ফাল্গুন শুরু। শীত ঋতুকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত ঋতু তথা ফাল্গুকে বরণ করতে নিতে নিতু ও রূপার মতো অসংখ্য তরুণ-তরুণীকে বাসন্তী রঙের শাড়ি ও রেশমি চুড়ির দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে।এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নিতু ও রূপা জানায়, ওদের কলেজ ও বাসা ডেমরা এলাকায় হলেও ওরা আগামীকাল পহেলা ফাল্গুনের প্রস্তুতিগ্রহণ করতে ম্যাচিং করে একই রঙের পোশাক ও চুড়ি কিনতে বেরিয়েছে। প্রথমে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে বাসন্তি রঙের পোশাক কেনে। শাহবাগ থেকে ফুলের রিং কিনে এখন রেশমা চুড়ি কিনল। কাল সবার মতো ওরা ঘুরতে বের হবে।রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট সরেজমিনে দেখা গেছে, নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানে ফাল্গুনকে উপলক্ষ করে বাসন্তি, হলুদ ও লালসহ বিভিন্ন রঙের হরেক ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পোশাক দোকানের ভেতরে বাইরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।তবে ওই সময় মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। দোকানিরা জানান, এ সময় ক্রেতার ভিড় কম থাকে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভালো কেনাবেচা হয়। আগামীকাল পহেলা ফাল্গুন ও পরশু বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অনেকেই পছন্দের মানুষকে পোশাক কিনে দিচ্ছেন।তবে কোনো কোনো ক্রেতা বলেন, বেচাকেনা আশানুরূপ নয়।এমইউ/বিএ/আরআইপি

Advertisement