২০১৪ সালে বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণাকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চতুর্থ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। ‘ডেথ সেনটেন্সেস অ্যান্ড এক্সিকিউশনস ২০১৪’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ২০১৩ সালে মোট ১ হাজার ৯২৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। আর গত বছর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ২ হাজার ৪৬৬ জনকে। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের সংখ্যা বাড়লেও এ ধরনের রায় কার্যকর হওয়ার হার গত বছর ২০১৩ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ কমেছে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ চীন ও উত্তর কোরিয়াকে এই হিসেবের বাইরে রাখা হয়েছে যেহেতু ওই দুটি দেশে ঠিক কতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। অ্যামনেস্টি কয়েকটি দেশ চিহ্নিত করে যেখানে অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা মোকাবিলার চেষ্টায় মৃত্যুদণ্ডের রায় নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে গত বছর মোট ৬৫৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিসর। সেখানে ৫০৯ জনকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। ২৩১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পাকিস্তান শীর্ষ তিনের মধ্যে স্থান পেয়েছে। অ্যামনেস্টির ওই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরবর্তী দুটি দেশ তানজানিয়া ও ইরান। এ দুই দেশে গত বছর যথাক্রমে ৯১ ও ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম যৌথভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে। এ দুই দেশে গত বছর ৭৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভারতে ৬৪ এবং শ্রীলঙ্কায় ৬১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তালিকায় এ দুটি দেশ যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে। আর যেসব দেশে অন্যায্য বিচারপ্রক্রিয়ায় এসব মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাম উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাবিশ্বে ২০১৪ সালে মোট ১৯ হাজার ৯৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। আর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তালিকায় চীনের পরে শীর্ষে রয়েছে ইরান। দেশটিতে গত বছর ২৪৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অন্তত ৯০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ওই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাক। সেখানে ৬১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পাকিস্তানে গত বছর ৩২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিএ/এআরএস
Advertisement