মানুষের নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, জিকির-আজকারসহ ধর্মীয় কাজকেই ইবাদত বুঝায় না। বরং দুনিয়াতে মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, তবে তাই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে।ইবাদত শারীরিক হোক কিংবা আর্থিক হোক অথবা শারীরিক ও আর্থিক যে ধরনেরই হোক না কেন সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে।দৈনন্দিন জীবনে মানুষ ইবাদত বন্দেগি করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল করে বসে। আবার কেউ কেউ সঠিক কাজও করে। এ সব অবস্থায় মুমিন ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ৩টি কাজের আমল করা আবশ্যক। আর তা হলো-ভালো কাজের শুকরিয়াসঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারা আল্লাহ তাআলা অশেষ নেয়ামত। যারা প্রতিদিন যথা সময়ে যথাযথভাবে নামাজ-রোজা পালনসহ দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজ সুন্দরভাবে আদায় করে, তাদের জন্য উচিত নিয়মিত ভালো কাজ করার কারণে আল্লাহ তাআলা প্রতি কৃজ্ঞতা স্বরূপ তাঁর শুকরিয়া আদায় করা।গোনাহের কাজে ক্ষমাদৈনন্দিন কাজে বান্দা যখন ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কোনো অন্যায় কাজ করবে। তখন ই বান্দার উচিত, গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে প্রতিদিনই ঘটে যাওয়া অন্যায় ও ভুলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। পুনরায় যাতে অন্যায় কাজে লিপ্ত না হয় সে ব্যাপারে আল্লাহর নিকট তাওবা করা।বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করামানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হলো সবর বা ধৈর্যধারণ করা। কারণ আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। যারা সব ধরনের বিপদাপদে ধৈর্যের পরীক্ষায় পাস করেন। তারাই সফলকাম। তাই মুমিনের উচিত জীবনের সর্বাবস্থায় ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।পরিশেষে...মুমিন মুসলমানের জন্য নিয়মিত উল্লেখিত তিনটি কাজের যথাযথ আমল করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজের শুকরিয়া, মন্দ কাজের গোনাহ থেকে পরিত্রাণ এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/জেআইএম
Advertisement