রাজনীতি

বাকশাল কায়েম করতেই সম্প্রচার নীতিমালা : মির্জা ফখরুল (ভিডিও)

জনগণের অধিকার হরণ করতে এবং সরকার দেশে বাকশাল কায়েম করতেই সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সোহওয়ার্দী উদ্যানে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করনে।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের ফেনা বের হলেও এখন তাদের আসল চেহারা উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। তাদের মুখোশ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় এসে সরকার একের পর এক মিডিয়া বন্ধ করেছে। এখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে একের পর এক আইন করে চলেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেও জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করে কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এখন সম্প্রচার নীতিমালা করে তারা প্রমাণ করেছে জনগণের রায়ে তারা বিশ্বাস করে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় না।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে মানুষের বাক স্বাধীনতা স্তব্ধ করে দিয়েছিলো। তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার হরণ করেছিলো। সব পত্রিকা বন্ধ করে মাত্র ৪টি পত্রিকা সরকারের নিয়ন্ত্রনে রেখেছিলো। এবার ক্ষমতায় এসে চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ ইসলামী টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের মতোই আবার গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, তাদের মুখোশ খুলে গেছে। বাংলাদেশকে আবার তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। তারা মনে করে দেশের প্রভু তারা। তারা দেশের গণতন্ত্র হত্যা করতে মেতে উঠেছে। এরই নব সংস্করণ বিচারপতিদের অভিসংশন ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়া হচ্ছে। যে সংসদে কোন জনগণের প্রতিনিধি নেই।তিনি এই সিদ্ধান্ত একদলীয় সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে বলেন, যে সংসদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই, তার কোন আইন জনগণ মানবে না।সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি যাননি।এদিকে নীতিমালার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বৃষ্টি সত্বেও জনতার ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশদ্বারের সামনে  সমাবেশ শুরু হয়।  সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন জোটের নেতাকর্মীরা।ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী সোহেলের পরিচালনায় ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সদস্য আর এ গণি, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লা ভুলু, মিজানুর রহমান মিনু।

Advertisement

ভিডিও সৌজন্যে- সময় টেলিভিশন