এক এক করে চলে গেছে ১২ বছর। এক যুগ আগে ঠিক এই দিনে ফুটবল অঙ্গনকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন মোনেম মুন্না। যিনি ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। জাতীয় দল আবাহনীর জার্সি গায়ে দেশের ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরা মোনেম মুন্না না ফেরার দেশে চলে যান ২০০৫ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি।তার মৃত্যুবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদ শোকর্যা লি, কবর জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। নারায়ণগঞ্জ সোনালী অতীত ক্লাব মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি কাঙালি ভোজের আয়োজনও করেছে।দেশের ফুটবলে মোনেম মুন্না প্রথম লাইমলাইটে আসেন ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে নাম লেখিয়ে। তার আগে ঢাকার ফুটবলে তার আগমন ১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার লিগে পোস্ট অফিস দলের হয়ে। প্রথম দুই মৌসুম মুক্তিযোদ্ধায় খেলে মুন্না যোগ দিয়েছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নে। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত খেলা আবাহনীতে মুন্না যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে।মুন্না ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলে অনত্যম সেলিব্রেটি। হালের ফুটবলারদের কেউ কেউ ক্লাব থেকে অর্ধকোটি টাকা পারিশ্রমিক পান। তবে মোনেম মুন্না ১৯৯১ সালে আবাহনীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ২০ লাখ টাকায়। ওই সময় যা ছিল অকল্পনীয়। তার ওই পারিশ্রমিক ওই সময় এ উপমহাদেশের ফুটবলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। কেবল পারিশ্রমিকের দিক দিয়েই নয়, পারফরম্যান্সেও তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।মোনেম মুন্না জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন একাধিকবার। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তার। ১৯৯০ এর বেইজিং এশিয়াডে প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হন লাল সবুজ দলের। তা্র অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারে চার জাতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। যা ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম ট্রফি জয়।বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন মোনেম মুন্না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলে তিনি বাংলাদেশের ফুটবলে বিজ্ঞাপন হয়েছিলেন প্রতিবেশি দেশটিতে। এমআর/আরআইপি
Advertisement