রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও সৌদি আরবে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। সম্প্রতি দেশটিতে তরুণদের বিনোদনের কিছু পথ খুলে দিয়েছে প্রশাসন। বিখ্যাত আরব গায়করা সেখানে মিলনায়তনে শ্রোতাদের সামনে অনুষ্ঠানও করতে পারছেন। খবর বিবিসির। এখন দেশের তরুণরা মরুভূমির বালিয়াড়িতে দ্রুতগতির গাড়ি চালাতে পারছেন। তবে বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে এখনও নারীরা অংশ নিতে পারছেন না।সম্প্রতি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় বাজেট নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছে সৌদি সরকার। তারা চাইছে সৌদির তরুণরা যেন বিনোদনের জন্য লন্ডন বা দুবাই না গিয়ে দেশের ভেতরেই তাদের সময় ও অর্থ খরচ করে।এমন একটি মুহুর্তের জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছিল সৌদির তরুণরা। সৌদির সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক মোহাম্মদ আবদু বহু বছর পর এই প্রথমবার নিজের দেশে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। নিজের দেশে প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানে গান গাইবার অনুমতি পেয়েছেন তিনি।এরকম আরো বেশ কিছু গানের অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে সৌদি আরবে। রক্ষণশীল এই দেশটির মন্ত্রণালয় দেশের জনগণের জন্য কিছু বিনোদনের রাস্তা খুলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ পরিবর্তন হচ্ছে খুবই ধীরে। মোহাম্মদ আবদুর অনুষ্ঠানে দেখা গেছে শ্রোতারা সবাই পুরুষ। সেখানে কোনো নারীকে দেখা যায়নি। অনেক সৌদি নাগরিকই এ ধরনের গানের অনুষ্ঠানে মেয়েদের দেখতে চান না। অনেক তরুণও মনে করেন এটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। দেশের জন্যও এটা ভালো হবে না।তবে সৌদি আরবে যে পরিবর্তনের জোয়ার শুরু হয়েছে সেটাও কম নয়। সপ্তাহ শেষের ছুটির দিনগুলোতে মরুভূমির বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে চার চাকার ছোট ছোট গাড়ি চালানো সেখানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিনোদন।মোটরবাইকের মতো ছোট ছোট গাড়িগুলো তীব্র গতিতে, উঁচু-নিচু বালিয়াড়ির ওপর দিয়ে চালানো হয়। তবে এখানেও মেয়েদের দেখা যায় না।সৌদি আরবে জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বয়সই ত্রিশের নিচে। লন্ডন বা দুবাইয়ের মতো উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত শহরগুলো তরুণদের ভীষণ টানে। এ কারণেই ৩১ বছর বয়সী এক যুবরাজ তরুণদের উৎসাহিত করছেন যেন তারা তাদের সময় ও অর্থ দেশেই খরচ করে।এ বিষয়ে সমর্থন করে ওয়ালিদ বিন সায়েদান বলেছেন তিনি চান, মেয়েদের গাড়ি চালানোর সুযোগ দেয়া হোক। এছাড়া তাদের নিজেদের সিনেমাও চালু করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।টিটিএন/আরআইপি
Advertisement