খেলাধুলা

অভিষেক টেস্টে বিশ্ব রেকর্ড গড়াকেও বড় করে দেখতে চান না নাঈমুর

শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে শুরু কিন্তু ভালোই ছিল। এখন টেস্টে বাংলাদেশ দুর্বল ও নিচের সারির দল হিসেবে পরিগণিত হলেও অভিষেক টেস্টে টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। যাত্রা শুরু হয়েছিল এক জোড়া বিশ্ব রেকর্ড দিয়ে। তার মধ্যে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের রেকর্ড নিয়েই কথা হচ্ছে বেশি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে তিনজন মাত্র ব্যাটসম্যানের একজন হলেন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম। তার আগে দুজন মাত্র ব্যাটসম্যান, অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান ও জিম্বাবুয়ের ডেভিড হাটন তার দেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে প্রথম ব্যাট হাতে নেমেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই দলের তিন নম্বর সদস্য বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এর বাইরে আরও একজন অভিষেকে ৬ উইকেট দখল করে বিশ্ব রেকর্ডের স্রষ্টা হয়েছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ১৩২ রানে ৬ উইকেট দখল করে রেকর্ড গড়েছিলেন। অভিষেকে অধিনায়ক হিসেবে ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট। পাশাপাশি দলের অভিষেকেও অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেট। কিন্তু আজ ১৬ বছর পর তা নিয়ে কোনোই বাড়তি আবেগ-উচ্ছ্বাস নেই নাঈমুরের। অভিষেক টেস্টে তার নিজের বোলিংয়ের কথা যতটা সম্ভব আড়াল করে রাখতেই যেন বেশি উৎসাহী নাঈমুর। জাগো নিউজের সাথে অভিষেক টেস্ট নিয়ে দীর্ঘ আলাপে প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠেছে তার সেই দুর্দান্ত বোলিংয়ের কথা। কিন্তু নাঈমুর সযত্নে যেন এড়িয়ে যেতে চাইলেন। বলা হলো, আমিনুল ইসলাম বুলবুলের শতরান আর হাবিবুল বাশারের হাফ সেঞ্চুুরিই তো শেষ নয়। আপনারও তো প্রথম টেস্টে ৬ উইকেট শিকারের অসামান্য কৃতিত্ব আছে। তা খানিকটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা আমিনুল ইসলামের একটাই কথা, ‘বুলবুল ভাইয়ের (আমিনুল ইসলাম) মতো আমিও ইতিহাস গড়বো, এমন চিন্তা মাথায় ছিল না। আমি আসলে নিজের কৃতিত্ব নিয়ে বড় গলায় কথা বলতে চাই না। আমি অধিনায়ক ছিলাম। দলকে নেতৃত্ব দেয়া এবং যতটা সম্ভব সামনে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিল আমার কাজ। সে চেষ্টাই করেছি শুধু। এর বেশি কিছু ভাবতে চাই না। মনেও করি না। আমার টার্গেট ছিল যতটা সম্ভব ভালো জায়গায় বল করা।শুরু থেকে সে চেষ্টাই করেছি। সব সময়ই ভেবেছি যে করেই হোক লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখে বল করবো।  বোলিং শুরুর পর প্রথম অংশে উইকেট পেয়ে যাওয়ায় মনে হয় বাড়তি উদ্যম চলে এসেছিল। আমি আরও একটু অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল যে এভাবে ভালো জায়গায় বল ফেললেই হয়তো সাফল্য ধরা দেবে।’নাঈমুরের ধারণা, তার বল হাতে ৬ উইকেট শিকারের পেছনে আরও একটি বিষয় কাজ করে থাকবে। স্কোর বোর্ডে রান ৪০০ থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা দেড় দিনের বেশি সময় ১৫৩.৩ ওভার ব্যাট করেছিলেন। নাঈমুরের ধারণা- ওই দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের পর উইকেট খানিকটা স্পিনারদের পক্ষে চলে এসেছিল। তাই তো মুখে এমন কথা- ‘এছাড়া উইকেটও একটু ভূমিকা রেখেছিল। আমরা প্রায় দু’দিন ব্যাট করে ফেলায় উইকেট একটু আধটু স্পিনারদের পক্ষে চলে এসেছিল। টার্নও নিচ্ছিল।’ এরআরবি/এনইউ/আরআইপি

Advertisement