ধর্ম

ফেরাউনসহ পৃথিবীর ক্ষমতাধর বাদশাহদের উপাধি

ফেরাউন মূলত কারো নাম নয়। বনি ইসরাইলিদের যুগের ধর্ম যাজক বা সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের উপাধি ছিল ফেরাউন। পরবর্তীতে বনি ইসরাইলিরা যখন রাজ্য শাসনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে; তখন যারা ঐ অঞ্চলের রাজা হতো তাদেরকে ফেরাউন বলে সম্বোধন করা হতো।বিভিন্ন সময়ে আগত ফেরাউনদের নামসহ পৃথিবীর ক্ষমতা বাদশাদের খেতাবগুলো তুলে ধরা হলো->> আমালেকা জাতির রাজার খেতাব ছিল ফেরাউন।>> মিশরের অধিবাসী কিবতিদের রাজার খেতাবও ছিল ফেরাউন।>> হজরত মুসা আলাইহিস সালামের যুগের ফেরাউনের নাম ছিল ওলিদ ইবনে মাসআব ইবনে রাইয়ান। তার বয়স হয়েছিল চারশত বছরেরও অধিক।>> হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের যুগের ফেরাউনের নাম ছিল রাইয়ান। এ দুই ফেরাউনের মধ্যে ৪০০ বছর সময়ের ব্যবধান ছিল।>> পারস্য রাজার খেতাব ছিল কেসরা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাসানী যুগের শাসক খসরু পারভেজকে কেসরা অভিহিত করে চিঠি লিখেছিলেন।>> রোম রাজ্যের শাসকের খেতাব ছিল হেরাকেল। >> তুরস্কের রাজাদের খেতাব ছিল খাকান।>> ইয়ামেনের বাদশাহদের খেতাব ছিল তোব্বা।>> আবিসিনিয়ার বাদশাহকে নাজ্জাশি বলে সম্বোধন করা হতো।>> ইসলামের প্রাথমিক যুগে মিশরের শাসকের খেতাব ছিল মাকুকাস। এই মাকুকাস খ্রিস্টান হলেও তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমণ ও বর্ণনা শুনে তাঁর রিসালাতের সত্যয়ন করেছিলেন। বিশ্বনবির আগমনে মাকুসাস তাঁর জন্য দুই জন দাসী প্রেরণ করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের দু জনকেই মুক্ত করে দেন।এমএমএস/এমএস

Advertisement