হায়দরাবাদ টেস্টে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বাজে ফিল্ডিং। একের পর এক ক্যাচ মিস, বাজে ফিল্ডিং আর রান আউট মিসের কারণেই মূলত ভারত এত বড় একটি স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে মুশফিকদের সামনে। আগের দিনও সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন আহমেদ বলেছিলেন, এগুলো খেলারই অংশ। তবুও তিনি স্বীকার করেছিলেন রান আউট মিস না হলে হয়তো ম্যাচের অবস্থা ভিন্নও হতে পারতো।আজ দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদী হাসান মিরাজও প্রায় একই কথা বললেন। মিরাজকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস কিংবা স্ট্যাম্পিং মিস- এসব একজন বোলারের জন্য কতটা ডিমরালাইজিং? জবাবে মিরাজ জানালেন, এগুলো পার্ট অব গেম।মিরাজ বলেন, ‘আমি বলবো যে এটা পার্ট অব গেম। অবশ্যই আগে খারাপ লাগতো। তবে এখন আর খারাপ লাগে না। কারণ- প্র্যাকটিস ম্যাচ যখন খেলেছি, তখন আমি নিজেও একটি ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছি। ওটা থেকে অনেক কিছু শিখেছি যে, ফিল্ডারের অবস্থা তখন কতটা খারাপ থাকে। বোলাররাও কেমন থাকে। সুতরাং, আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের দলে যারা আছে তাদেরও একই অবস্থা হয়। মানসিকভাবে একটু খারাপ লাগে হয়তো। তবে কখনো খুব বেশি খারাপ লাগে না। কারণ সবাই মনে করে চেষ্টা করেছি, হয়নি।’ অধিনায়ক নিজেও তো স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন, এসব ক্ষেত্রে তিনি নিজে কী বলেন?মিরাজের জবাব, ‘অধিনায়ক তো সব সময়ই আমাদেরকে সাপোর্ট করেন। বিশেষ করে, এতো রান হওয়ার পরও সব সময় আমার কাছে এসে, আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন এবং বলেছেন যে এখন এই সিচুয়েশন আছে, এই সিচুয়েশনে এ ধরনের বোলিং করতে হবে। আমাদের ক্যাপ্টেন এবং সিনিয়র খেলোয়াড় যারা আছেন সবাই সবাইকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। দেখেন রান কিন্তু অনেক হয়েছে। আমি মাঝে মাঝে শট বল করেছি, বাউন্ডারি খেয়েছি। খারাপ বোলিং করেছি। তবুও আমার কাছে এসে তিনি সব সময় উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেছেন- যে কিভাবে ভালোটা করা যায়। এভাবে সব সময় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন।’আবারও তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সুযোগ মিস করার ব্যাপারে। মিরাজ বলেন, ‘সুযোগ তৈরি করা, কাজে লাগানো কিংবা মিস করা- এটা হচ্ছে পার্ট অব ক্রিকেট। আমরা মাঠে আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিছু কিছু সময় আমরা ভুল করেছি। তবে অধিকাংশ সময়ই আমরা সুযোগ সৃষ্টি করেছি এবং ম্যাচটাকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছি। কখনও কখনও সমস্যা পড়েছি। তবে আশা করি, আমরা পরের ইনিংসে আরও ভালো করতে পারবো।’আইএইচএস/এনইউ/পিআর
Advertisement