প্রথম দিন শেষেই বোঝা যাচ্ছিল রানের পাহাড় গড়তে যাচ্ছে ভারত। সে ধারণাই সত্য হলো। শেষ পর্যন্ত ৬৮৭ রানের হিমালয় সমান রান করেই ইনিংস ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া। স্ট্যাম্পিং ও ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েই রানের পাহাড়েই চাপা পড়েন টাইগাররা। তবে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিন শেষে আফসোস হয়ে রইলো সৌম্য সরকারের আউট।উমেশ যাদবের ভেতরে আসা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঠিকভাবে খেলতে পারেননি। ব্যাট সামান্য ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ আবেদন ভারতের পক্ষেই যায়।দ্বিতীয় দিন শেষে সৌম্যর উইকেটটি হারিয়ে ৪১ রান করে বাংলাদেশ। তবে অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ১ রানে। আগামীকাল এ দুই ব্যাটসম্যানের ওপরই তাকিয়ে বাংলাদেশ।এর আগে শুক্রবার আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে ও বিরাট কোহলির দারুণ ব্যাটিংই আজও শতরানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ভযঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন তাইজুল। তবে তাকে সাজঘরে ফেরানোর বড় অবদানটা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। শর্ট কভারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহানে। কোহলির সঙ্গে ২২২ রানের জুটি গড়েন তিনি।তবে অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে এ কীর্তি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ২০৪ রান করে তাইজুলের বলে থামেন তিনি। মাত্র ২৪৬ বল মোকাবিলা করে ২৪টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের এ ইনিংস।কোহলির বিদায়ের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ৫৬৯ রানে অশ্বিনকে ফেরান মিরাজ। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান। অপরাজিত ১১৮ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন তারা।মুশফিকের বদান্যতায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পান ঋদ্ধিমান। ব্যক্তিগত ৪ রানে তাকে সহজ জীবন দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৫৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জাদেজা করেন অপরাজিত ৬০ রান। ৭৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ অলরাউন্ডার।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ লাভ করেছেন দুটি উইকেট লাভ করেছেন। তাসকিন আহমেদকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক উইকেট নিয়েই।আরটি/এনইউ/পিআর
Advertisement