যে কোনো টেস্ট অধিনায়কের কাছে প্রথম টেস্টের প্রথম স্মরণীয় অংশ হলো- ‘টস।’ জাতীয় দলের ব্লেজার গায়ে চাপিয়ে হাজারো দর্শক-সমর্থকের উন্মুখ দৃষ্টি সামনে রেখে টস করতে নামাই এক অন্যরকম পুলক জাগানো অভিজ্ঞতা। আজ থেকে ১৬ বছর আগে; ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর রোদ ঝলমলে সকালে ভারতের তখনকার অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে কালো ব্লেজার গায়ে চাপানো নাইমুর রহমান দুর্জয়ের টস করার দৃশ্য এখনো বাংলাদেশের কোটি ক্রিকেট অনুরাগীর মনের আয়নায় জ্বলজ্বল করছে। নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কাছেও অভিষেক টেস্টের টস হয়ে আছে স্মরণীয়। তবে টস করতে নামার আগের পুলক ও রোমাঞ্চকর অনুভুতিটা মুদ্রা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে একটু অন্যরকম হয়ে যায়। যে কারণে নাঈমুরের কাছে অভিষেক টেস্টের টসের অভিজ্ঞতা ভালো-মন্দে মেশানো। কেন একটা টেস্ট খেলিয়ে দলের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টস করার অনুভূতিটা মিঠে কড়া হবেন কেন? খুব জানতে ইচ্ছে করছে, তাই না! তাহলে শুনুন, ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি টসের পর ভুলবশত নিজেকে জয়ী দাবি করেছিলেন। আসলে টস জিতেছিলেন নাঈমুর রহমান। জাগো নিউজের সাথে আলাপে ওই টস করার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে নাইমুর বলেন, ‘টেস্টে প্রথম টস করতে নামবো, অন্যরকম আবেগ, পুলক ও রোমাঞ্চ কাজ করছিল ভেতরে। সে অনুভূতি অন্যরকম। কখনই ভোলার নয়। এখনো মনে আছে গায়ে জাতীয় দলের ব্লেজার চাপিয়ে প্লেয়ার্স লিস্ট হাতে নিয়ে গেলাম টস করতে। কিন্তু সে টস করতে নেমেই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো। কয়েন মাটিতে পড়তে না পড়তেই তৈরি হলো বিভ্রান্তি। রীতি অনুযায়ী অতিথি দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিই ‘হেড’ বা ‘টেল’ বলার সুযোগ পেলেন। মহারাজ ‘হেড’ বলে উঠলেন। কিন্তু পড়লো ‘টেল।’ বিস্ময়করভাবে সৌরভ গাঙ্গুলি দাবি করলেন তিনিই জিতেছেন। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হলো- হেড পড়েছে। আমি পরিষ্কার দেখলাম, ‘টেল’ পড়েছে। কাল বিলম্ব না করে ইংলিশ ম্যাচ রেফারি রমন সুব্বা রাওয়ের স্মরণাপন্ন হলাম। তাকে বললাম, হেড নয়। টেল পড়েছে। কাজেই ভারতের অধিনায়ক নন, টস জিতেছি আমি। কয়েন মাটিতেই পড়া ছিল। ম্যাচ রেফারি রমন সুব্বা রাও তা দেখে আমাকেই জয়ী ঘোষণা করলেন। আমি টস জিতে ব্যাট বেছে নিলাম।’ এআরবি/এনইউ/পিআর
Advertisement