দেশজুড়ে

উত্তর বলে দেয়ায় ১০ শিক্ষক ৭১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ফরিদপুরে দাখিল পরীক্ষায় এক কেন্দ্রে ৭১ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার অভিযোগে ৩ শিক্ষককে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা পরীক্ষা চলাকালে ফরিদপুর শহরের গোলচামটস্থ সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, জসিম উদ্দিন, মো. ফাইজুর রহমান, মো. আব্দুর রশিদ খান।সারদা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের পরীক্ষার্থ ও সালমান ফার্সি (রা.) দাখিল মাদরাসার ছাত্র জুবায়ের আহমেদ জানান, শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষা শেষে নৈব্যক্তিক পরীক্ষার সময় জসিম স্যার আমাদের ‘ক’ সেটের উত্তর বলে দেয়। সে সময় খ, গ ও ঘ সেটের পরীক্ষার্থীদের কেউ ওই শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী উত্তর পত্রে বৃত্ত ভরাট করতে বলে। কেন্দ্রটির ৯নং কক্ষের পরীক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম জানায়, পরীক্ষা শেষের দিকে ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের জিজ্ঞাসা করে তোমরা সকলে একই উত্তর পত্র বৃত্ত ভরাট করেছে কেন? কি ঘটনা হয়েছে সত্য কথা বলও, কাউকে কিছু বলবো না। শুধু শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তারা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায়, স্যার প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছে আমরা সবাই বৃত্ত ভরাট করেছি। যারা ‘ক’ সেট বাদে অন্য সেট পেয়েছে তারাও স্যারের কথা মত বৃত্ত ভরাট করেছে। স্যারের কথা মত এক প্রকার বাধ্য হয়েও সবাই না বুঝে একই কাজ করেছি।এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, এক কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষে সকল পরীক্ষার্থী অনৈতিক উপায়ে পরীক্ষা প্রদান করেছে শুনে ঘটনাস্থালে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নকলসহ শিক্ষকের গাফলিত ও দোষের প্রমাণ পাওয়া যায়। ওই কেন্দ্রের দুইটি কক্ষের অসদুপায় গ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র গাফলতির কারণে ১০ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় এই কাজে সহযোগিতাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে তিন শিক্ষককে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।      এস.এম. তরুন/এআরএ/জেআইএম

Advertisement