খেলাধুলা

ভারতের মাটিতে খেলতে না পারার আক্ষেপ আশরাফুলের

২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় বাংলাদেশের বিস্ময় বালক মোহাম্মদ আশরাফুলের। এরপর ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৬১টি। দীর্ঘ এ সময়ে নানা কীর্তি গড়েছেন এ ক্রিকেটার। তা নিয়ে সন্তুষ্টও তিনি। তবে আক্ষেপ একটাই, এতো বছর ক্রিকেট খেলে ভারতে খেলতে না পারা। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপ কালে ভারতের বিপক্ষে খেলতে না পারার হতাশাই ফুটে উঠলো তার কণ্ঠে।‘১৩ বছর জাতীয় দলে খেললাম কিন্তু ভারতের মাটিতে খেলা হলো না। ৬১টা টেস্ট খেলেছি। এটা অবশ্যই দুঃখজনক আমার জন্য ও দেশের জন্য।’ – হতাশ কণ্ঠেই জাগো নিউজকে বলেন অভিষেকে টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।ভারতে ক্রিকেটকে অন্য মর্যাদায় দেখা হয়। দেশটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এ খেলায় ভালো খেললে খুব সহজেই পাওয়া যায় জনপ্রিয়তা। এ কথা ভালো করেই জানেন আশরাফুল। কারণ এই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাঠে ১৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আর সে ইনিংসেই আলোচনার শীর্ষে উঠে আসেন অ্যাশ।‘অন্য আট দশটার মত টেস্ট হলেও ভারতের বিপক্ষে খেলার আলাদা গুরুত্ব আছে। ওদের ১২০ কোটি মানুষ এটার দিকে চোখ রাখবে। আমাদেরও ১৬ কোটি মানুষ এতে চোখ রাখবে। চট্টগ্রামে ওদের বিপক্ষে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলার পরই আমার পরিচয়টা আরও বেশি হয়েছে।’টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রায় ১৭ বছর পর ভারতের মাঠে খেলছে বাংলাদেশ। এতো বছর পর যারা এ টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তাদের অনেক ভাগ্যবান মনে করছেন আশরাফুল। তার এক সময়ের সতীর্থ তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহসহ সকল খেলোয়াড়দের শুভকামনাও জানান তিনি।‘এই প্রথম আমরা ভারত গিয়ে টেস্ট খেলতেছি তাও আবার একটা টেস্ট। যারা খেলবে তারা খুবই ভাগ্যবান। এদের মধ্যে পাঁচ-ছয়জন আছে যারা প্রায় নয়-দশ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে। তামিম, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ওরা তো অনেক দিন থেকেই দলে। এছাড়া যারা নবীন তারাও আশা করি অনেক দিন খেলবে ইনশাল্লাহ। আশা করি ভালো একটা ম্যাচই উপহার দেবে তারা’। বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে ভারত বিশ্বের এক নম্বর দল। দারুণ ব্যাটিং লাইন আপ তাদের। অপর দিকে বাংলাদেশের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপের জন্য দায়িত্বটা ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে বলে মনে করেন অ্যাশ, ‘এমন একটা সময় খেলতে গেছি যখন ওরা বিশ্বে এক নম্বর। খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের বোলিংটা একেবারেই নতুন। তাই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। যারা টিকবে তারা যেন একটা লম্বা ইনিংস খেলে।’আরটি/এমআর/জেআইএম

Advertisement