অনিরাপদ খাদ্য ও পানির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতি বছর সাত লাখ শিশু ডায়রিয়ায় মারা যায়। ফলে এ অঞ্চলের জনগণ ও দেশসমূহের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খামার থেকে শুরু করে বাজারজাত, প্রক্রিয়াকরণ, রান্না এবং খাবার টেবিলে পরিবেশন পর্যন্ত সর্ব পর্যায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এ অঞ্চলের নীতি নির্ধারক, কৃষক, খাদ্য লেনদেনকারী, পরিবার ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. পুণম ক্ষেত্রপাল সিং বলেছেন, আমাদের খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বিষ, রাসায়নিক এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক মিশ্রণের কারণে ডায়রিয়া থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত প্রায় ২শ’ রোগের সৃষ্টি হয়।তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং তার প্রভাবও খাদ্য উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি উদীয়মান জৈবিক ও পরিবেশগত দূষণ, নতুন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য সমস্যাও খাদ্য দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সার্বিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা কৌশলও জোরদার করতে হবে। খাদ্য চক্রের সর্বত্র এ কৌশল ও আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।ড. পুণম বলেন, এক্ষেত্রে একটি প্রশিক্ষিত জনশক্তির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি ভোক্তাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো বলেছে, উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টির বহুমুখী দেখভালের প্রয়োজন রয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর খাদ্য নিরাপত্তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে বাছাই করেছে। আগামী ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে।আরএস/পিআর
Advertisement