বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ২ শতাংশ করে কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।এছাড়া চলতি শতাব্দী শেষে এই ক্ষতি হতে পারে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ করে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এডিবির প্রকাশিত জলবায়ু এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দেশের ( বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকা) নাম উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব অব্যাহত থাকলে এখানে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সময়ে গড়ে জিডিপিতে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে ক্ষতি হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা না করা হলে ২১০০ সাল নাগাদ জিডিপিতে এই ক্ষতির পরিমাণ ৮ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আর এই শতাব্দীতে সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।প্রতিবেদনে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে মালদ্বীপ ও নেপাল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চলতি শতাব্দী শেষে দেশ দুটির অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। এই ক্ষতি বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ভারতের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভুটানের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শ্রীলংকার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা আরও প্রকট হলে চলতি শতাব্দী শেষে জিডিপিতে ক্ষতির পরিমাণ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। প্রভাব মোকাবেলায় বৈশ্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে এই ক্ষতি ২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে এডিবি।প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিন্দু এন লোহানি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু,পরিবেশবিদ মাহফুজউদ্দিন আহমেদ, এডিবির বাংলাদেশ মিশনের পরিচালক কাজুহিকো হিগুসি প্রমুখ।
Advertisement