তথ্যপ্রযুক্তি

ভারতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এম-কমার্স

কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের ই-কমার্সকে ছাড়িয়ে যাবে মোবাইল বা এম-কমার্সের বাজার। মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে দেশটিতে অ্যাপ ডাউনলোডের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আর এর মাধ্যমে এম-কমার্স খাতের প্রসার হচ্ছে। সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর ইকোনমিক টাইমস।এম-কমার্স ও ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করার আগে এ দুটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো। এম-কমার্স বলতে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে বোঝায়। আর ই-কমার্স বলতে পার্সোনাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডকে বোঝায়। বেশ কয়েক বছর আগে ইন্টারনেটে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ই-কমার্সের বাজারই ছিল সবচেয়ে বড়। কারণ সে সময় মোবাইল ডিভাইসের প্রসার এখনকার মতো ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। আর এখন বিশ্বব্যাপী কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ডিভাইসের সরবরাহ অনেক বেশি। এ কারণেই ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টারনেট সংযুক্ত মোবাইল ডিভাইসের কারণে ভারতের মতো বাজারে এম-কমার্স কয়েক বছরের মধ্যেই ই-কমার্স বাজারকে ছাড়িয়ে যাবে।২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিশ্বে ভারতে অ্যাপের বাজার বেড়েছে সবচেয়ে দ্রুত। এক পূর্বাভাসে কেপিএমজি জানায়, চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে অ্যাপ ডাউলোডের পরিমাণ ছয় গুণ বেড়ে ৯০০ কোটি ইউনিটে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বব্যাপী মোট অ্যাপ ডাউনলোডের ৭ শতাংশ হয়েছে ভারতে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইন্দোনেশিয়ার পরই দেশটির অবস্থান।মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আর এ প্রবণতার ওপর ভিত্তি করেই এম-কমার্স এগিয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস দেয় কেপিএমজি। গত বছর দেশটিতে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৩৩ শতাংশ বেড়ে ১৭ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সাল নাগাদ এ সংখ্যা বার্ষিক ২১ শতাংশ হারে বেড়ে ৪৫ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়াবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোডের এ বিপুল পরিমাণই দেশটিতে মোবাইল ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার সম্পর্কে ধারণা দেয়। আর ইন্টারনেটে কেনাকাটার সুযোগ বাড়ার কারণে এখন মানুষ এ বাজারে ঝুঁকছে। আর এক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের চেয়ে মোবাইল ডিভাইসই জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠছে।এআরএস/আরআইপি

Advertisement