খেলাধুলা

অক্টোবর থেকে ক্রিকেটের সকল সংস্করণে থাকছে ডিআরএস

ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন কিছু নয়। আর ক্রিকেটে এর ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। আর এ প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার ডিআরএসের জনপ্রিয়তাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে ব্যবহার হলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও ব্যবহার হয়নি। তবে এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এর ব্যবহার শুরু হচ্ছে। আগামী অক্টোবর থেকে সকল ক্রিকেটের সংস্করণেই ডিআরএস চালু করছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।দুবাইতে সদ্য শেষ হওয়া আইসিসির বোর্ড সভায় ক্রিকেটের সকল সংস্করণের ডিআরএস রাখার প্রস্তাব রাখা হয়। আর তা অনুমোদন করে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি। ফলে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০১৮ সালে নারীদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে থাকছে ডিআরএস। পরবর্তী যেকোন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রাখা হবে এ পদ্ধতিটি, যেখানে প্রত্যেক দল মাত্র একটি করে ডিআরএস ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এছাড়াও ডিআরএসের খরচ কমানোর আবেদনও করা হয়েছে। আগামী মে’তে আইসিসি ক্রিকেট কমিটির এর পুর্নাঙ্গ তুলে ধরা হবে এবং জুনে লন্ডনে বার্ষিক সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হবে।এছাড়াও ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি (এমআইটি) থেকে ম্যাচ শুরু আগে ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের অনুমোদন নিতে হবে। শেষ বছরে ডিআরএসের নতুন বেশ কিছু নিয়ম যোগ হয়েছে –হকআই, হটস্পট, আল্ট্রা এজ, রিয়েল টাইম স্নিকোসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি। এ সকল কিছুর পারফরম্যান্স যাচাই করার জন্য এমআইটি থেকে অনুমোদন নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।ডিআরএসের ব্যবহার নিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘ডিআরএস প্রযুক্তি দিনে দিনে অনেক উন্নত হচ্ছে। গত বছরগুলোতে এর অনেক বেশি সুফল পেয়েছে দলগুলো। ভবিষ্যতে এটা আরো উন্নত হবে। যাতে আরো নিঁখুত সিদ্ধান্তটি পাওয়া যায় সে জন্য এখনই এটা আরও সার্বজনীন করা প্রয়োজন।’তবে ডিআরএসের সার্বজনীন ব্যবহার নিয়ে এখনও রয়েছে বিতর্ক। শুরু থেকেই এ প্রযুক্তির ঘোরতর বিরোধী ভারত। যদিও সম্প্রতি ইংল্যান্ড সিরিজে টেস্টে প্রথমবারের মত ব্যবহার করেছে তারা। আরটি/এমআর/পিআর

Advertisement