অর্থনীতি

অর্থপাচার কাহিনীর সবটা সঠিক নয় : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার সংস্কারের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই সংস্কারের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। সোমবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য জানতে চান, দেশের অধিকাংশ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা?জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচারের যেসব কাহিনী শোনা যায়, তা সবটা ঠিক না। অনেক ক্ষেত্রে রং-চং লাগানো হয়। বর্তমান সরকার অর্থপাচার বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজার সংস্কারে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামীতে আরও পড়বে।তিনি বলেন, অনেকেই এখন পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও পর্যায়ক্রমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে।মো. সোহরাব উদ্দিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ কমেনি, বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশেষ করে বিগত বছরের তুলনায় এবার বিনিয়োগ বেড়েছে। বিনিয়োগ কমেছে এমন তথ্য ভুল।তিনি বলেন, আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কমে গেছে। আগে বিনিয়োগকারীদের ইনসেনটিভ দেয়া হতো, সেসব সুযোগ বর্তমানে বন্ধ আছে।সংরক্ষিত আসনের সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের অবশিষ্ট টাকা উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক, এফআরবি নিউইয়র্ক এবং সুইফট-এর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলমান রয়েছে।এ বিষয়ে ফিলিপাইনে আইনি প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। সরকার বিষয়টিতে সতর্ক রয়েছে। চুরি যাওয়া সব টাকা ফেরত আনতে সরকার দূঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও তিনি অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে জানান।এইচএস/বিএ

Advertisement