ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার। মঞ্চ দিয়ে শুরু, তারপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে তিনি পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। টিভি নাটকের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন কয়েকটি চলচ্চিত্রেও। বর্তমানে এ অভিনেতা কাজ করছেন একাধিক ধারাবাহিক নাটকে। এছাড়া আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিল্পী সংঘের নির্বাচন। সেখানে তিনি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে লড়ছেন। অভিনয়, নির্বাচন, সমকালীন ছোটপর্দা নিয়ে ইন্তেখাব দিনার কথা বলেছেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে। সঙ্গে ছিলেন বিনোদন প্রতিবেদক নাহিয়ান ইমন এবং আলোকচিত্রী মাহবুব আলমজাগো নিউজ : নির্বাচনে অংশ নেয়ার ভাবনাটা কীভাবে এলো?ইন্তেখাব দিনার : টিভি নাটকের শিল্পীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি। দীর্ঘদিন ধরে এ সংগঠনটি ইন-অ্যাক্টিভ ছিল। আমি ভাবলাম এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে যদি আমাদের শিল্পীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া, সুবিধা-অসুবিধা আদায়, সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করে পাশে থাকা যায়; তবে তো মন্দ হয় না। পাশাপাশি অনেক কাছের বন্ধু, জুনিয়র শিল্পীরা সাহস দিলেন। তাই হাজির হয়ে গেলাম নির্বাচনের মাঠে।জাগো নিউজ : অভিনয় শিল্পীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বীকৃতি নেই কেন?ইন্তেখাব দিনার : শিল্পীদের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি হচ্ছে দর্শকপ্রিয়তা। পারিশ্রমিকের বাইরে তারাই শিল্পীদের কাজের মূল অনুপ্রেরণা। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির প্রশ্নটা খুবই যুক্তিসঙ্গত। অভিনয়শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া উচিত। কারণ শিল্পীরা পাবলিক ফিগার। এরা সমাজে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে সমাজে শিল্প ও শিল্পীর কদর থাকে সেই সমাজ হয় প্রশংসিত। কারণ আমরা এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরি। তাই আমি চাইবো নির্বাচনে জয়ী হলে শিল্পী সংঘের হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করতে। জাগো নিউজ : আগে কখনও কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন?ইন্তেখাব দিনার : (মুচকি হেসে) না, আমি এবারই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। জাগো নিউজ : নাটকের ব্যস্ততা জানতে চাই...ইন্তেখাব দিনার : এখন ধারাবাহিক নাটক নিয়েই ব্যস্ত আছি। বর্তমানে কাজ করছি রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘টক অব দ্য টাউন’, ‘যখন কখনও’, দীপঙ্কর দীপনের ‘টক্কর’। নতুন করে শুরু করলাম মুনতাসীর বিপনের ‘অল্প স্বল্প গল্প’ ধারাবাহিক। এছাড়া এক ঘণ্টার নাটকেও কাজ করছি, তবে কম।জাগো নিউজ : অল্প স্বল্প গল্প নাটকে আপনাকে কেমন চরিত্রে দেখা যাবে?ইন্তেখাব দিনার : এ নাটকে আমার চরিত্রটি একটু নেগেটিভ ধাঁচের। বিয়েপাগলা! তিনটি বিয়ে করেছি। তবে আমার কোনো স্ত্রীই পূর্ব বিবাহের কথা জানে না। একটা সময় এ নিয়ে মজার মজার কাণ্ড ঘটতে থাকে। জাগো নিউজ : অসংখ্য নাটকের ভিড়ে এই নাটকটির মধ্যে ব্যতিক্রমী কী আছে? কেন দেখবে দর্শক?ইন্তেখাব দিনার : ভালো প্রশ্ন। প্রথমেই বলবো এর স্ক্রিপ্টটা অসাধারণ। গল্পটাও দর্শক ধরে রাখার মতো। আমার এবং অনেকগুলো চরিত্র আছে এই নাটকে যাদের নতুনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমি বলবো, ক্যারিয়ারের এতগুলো বছরে এসে এ ধরনের চরিত্রে আমি প্রথম অভিনয় করছি। খুব এনজয় করছি। দর্শকদের কাছে ভালো লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর মুনতাসির বিপন যুগের ভালো নির্মাতাদের একজন। ওর কাজে একটা পরিচ্ছন্নতার ছাপ থাকে। জাগো নিউজ : বিদেশি সিরিয়াল বাংলায় ডাবিং করে দেশের চ্যানেলে বন্ধ করা নিয়ে টিভি মিডিয়া বেশ গরম ছিল কিছুদিন আগে। এখন সেটা স্থগিত। আগামীতে এটি কোন দিকে মোড় নেবে বলে মনে করেন?ইন্তেখাব দিনার : কোন দিকে যাবে সেটা এর নেতারা বলতে পারবেন। আমার চাওয়া হচ্ছে, দর্শকরা ফিরে আসুক। তারা আবার বাংলা নাটক দেখুক। অন্য পেশার সঙ্গে এ পেশার পার্থক্য হচ্ছে আমরা যেমন অর্থ পাই তেমনি দর্শকদের অ্যাপ্রিসিয়েশন পাই। সেটা যখন একজন শিল্পী পায় না তখন হতাশ লাগে। কাজের প্রতি শিল্পীর অ্যাফোর্টটা কমে যায়। তাই আমি চাই দর্শক ফিরে আসুক। দর্শক না ফিরলে ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।জাগো নিউজ : আপনাকে ধন্যবাদ। দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন....ইন্তেখাব দিনার : আপনাকে এবং জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগ ও জাগো নিউজকে অনেক ধন্যবাদ। দর্শকদের বলবো দেশীয় টিভি চ্যানেল দেখুন, বেশি করে বাংলা নাটক দেখুন।এনই/এলএ
Advertisement