আধুনিক লাইফ স্টাইলে ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। খাদ্যাভ্যাস ও নানা কারণে জমে যাওয়া বাড়তি মেদ ঝরাতে ব্যায়ামের বিকল্প কমই আছে। তাই বলে যে কোনো সময় ব্যায়ামে নেমে পড়বেন এমন নয়। ব্যায়ামেরও সময়-অসময় আছে। ব্যায়ামের জন্য দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। শৃঙ্খলা অনুসরণ করুন। অনেকে মনে করেন যত বেশি ব্যায়াম তত ভাল। এটাও ঠিক নয়। প্রতিদিনের ব্যায়ামে ভারসাম্য অনুসরণ করা দরকার। অভিজ্ঞ শরীরচর্চাবিদ বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কতক্ষণ ও দিনের কোন সময়ে ব্যায়াম করবেন।সাধারণত বিশেষজ্ঞরা যে সময়গুলোতে ব্যায়াম করতে মানা করেন-অসুস্থ অবস্থায় : ঠাণ্ডার সমস্যাকে আমরা সাধারণ শারীরিক অসুবিধা মনে করি। কিন্তু এ ধরনের অসুস্থতার ক্ষেত্রেও ব্যায়াম করা উচিত নয়। বুঝতেই পারছেন শারীরিক অসুবিধাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কারণ এ সময় আপনার প্রতিরোধ শক্তি স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে দুর্বল থাকে। যা আপনার এনার্জি লেভেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- এ সময় শতভাগ মনোযোগ দিয়ে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। অথচ ব্যায়ামের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক ফোকাস একই বিন্দুতে থাকা দরকার। ব্যায়াম যাতে আনন্দময় হয় সে চেষ্টা করুন।ক্লান্ত ও অবসন্ন অবস্থায় : জোর করে কিছুই করা ভাল নয়। দিনের এমন কিছু সময় থাকে যখন জিমে যেতে ইচ্ছা করে না। শরীর চায় একটু বিশ্রাম। এ বিশ্রাম হতে পারে আপনার ফিটনেসের জন্য দরকারি শক্তির যোগানদাতা। ফিরিয়ে দিতে পারে ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি। তাই অহেতুক ক্লান্ত অবস্থায় নিজেকে কষ্ট দিবেন না। এমনকি আনন্দে থাকলেও মাঝে মাঝে বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। এ সময়গুলো খুঁজে বের করুন। অবসর উপভোগ করুন।আহত অবস্থায় : যেকোনো ধরনের আঘাত আপনার ফিটনেস সিডিউলকে বিঘ্নিত করে। সুস্থ হওয়ার জন্য শরীর ও মনকে সময় দিন। কারণ এ সময় শরীরের ওপর বাড়তি চাপ দেওয়া অত্যাচারের মতো।এ ছাড়া অ্যালকোহল গ্রহণ বা সারারাত পার্টিতে জেগে থাকার পর ব্যায়াম করতে যাবেন না। এ সময় একে শরীর ক্লান্ত থাকে, অনেক সময় পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। তাই ব্যায়াম করুন জেনে ও বুঝে।
Advertisement