গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি। রান্না ও কাঁচা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর। এটি ওবেসিটি, মাঢ়ির সমস্যা, ইনসমনিয়া, কিডনি, লিভার ও গলব্লাডারের সমস্যা, আলঝাইমার, অ্যাজমা কোলাইটিস এবং চোখের সমস্যা সারাতে সহায়ক। চোখের জন্য গাজর খুবই উপকারী। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধেও গাজর সাহায্য করে। গাজরের হালুয়া খুবই সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় খাবার। চলুন তবে দেখে নেই ঝটপট গাজরের হালুয়া বানানোর নিয়ম-উপকরণ: গাজর দেড় কেজি, পানি পরিমাণ মতো, দুধ ২ লিটার, চিনি ২ কাপ (স্বাদ মতো), ঘি / মাখন ৩/৪ টেবিল চামচ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ পরিমান মতো, লবণ স্বাদ মতো, কাজু বাদাম (কুচানো ) ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ।প্রণালি: গাজর কিউব করে কেটে পানিতে দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা গাজর ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে দিয়ে তাতে ১/২ কাপ দুধ দিয়ে ব্লেন্ড করুন। বাকি দুধ জাল দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিতে হবে। একটি পাত্রে মাঝারি আঁচে ঘি বা মাখন গরম করে তাতে সব বাদাম ও কিসমিস দিয়ে ৫ সেকেন্ড ভেজে একটি প্লেটে রাখুন। এখন সব মসলা ঘি এর মধ্যে দিয়ে ৫ সেকেন্ড ভেজে তার মধ্যে ব্লেন্ড করা গাজর , দুধ, চিনি , লবণ দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মাঝারি আঁচে রাখুন ও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না গাজর নরম হয়। পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে ঘি উপরে ভেসে উঠা পর্যন্ত নাড়ুন। পানি শুকিয়ে আসলে অল্প আঁচে ঘি দিয়ে একবার নেড়ে দিন। হালুয়া যখন সোনালি বাদামী রং হবে তখন হালুয়াতে বাদাম ও কিসমিস ভালোভাবে মেশান। এরপর হালুয়া নামিয়ে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু গাজরের হালুয়া। অনেকে মিশ্রণটি একটু শক্ত করে বিভিন্ন সাইজে কেটে গাজরের বরফি তৈরি করে থাকেন।এইচএন/পিআর
Advertisement