স্ত্রীর বকুনির ভয়বাবুল বাজার করতে গিয়ে পড়ে গেল বন্ধুদের খপ্পরে। তাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে দেরি হয়ে গেল। বাসায় ফিরলে স্ত্রী এখন বকুনি দিতে শুরু করবে। এ কথা ভেবে তার গলা শুকিয়ে সাহারা মরুভূমি। অজুহাত কী দেয়া যায় ভাবতে ভাবতেই দারুণ বুদ্ধি পেয়ে গেল। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই বাজারের ব্যাগ থেকে চিংড়ি নিচে ছেড়ে দিল। স্ত্রী বাসা থেকে বের হয়ে সামনে আসতেই লোকটি চিংড়িগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলল-বাবুল : হাঁট হাঁট জোরে হাঁট। তোদেরকে হাঁটিয়ে আনতেই তো এতো দেরি হয়ে গেল। ****পাথরের ফুটবল খেলাপাবনার পাগলদের ১ বছর ভালোভাবে ট্রিটমেন্ট করার পর তাদের মানসিক উন্নতি হল কিনা দেখার জন্য একটি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে-একটি পাথরের ফুটবল দিয়ে মাঠে সব পাগলকে ছেড়ে দেয়া হল খেলার জন্য। কারণ যে মানসিক উন্নত হবে সে কখনো পাথরের বল দিয়ে খেলা করবে না। সব পাগল এই পাথরের বলটিকে আঘাত করতে শুরু করল। শুধু একজন বাদে। চিকিৎসকরা মনে করলো যে তার মানসিক উন্নতি হয়েছে। তাই তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল-চিকিৎসক : এই তুমি খেলবে না? সবাই বল দিয়ে খেলা করছে। তার মানে নিশ্চয় তুমি ভালো হয়ে গেছ।পাগল : না, আমি ভাবছি বলটি কখন উপরে উঠবে আর আমি হেড মারব!****বিশাল চাকরি দিমুএকবার এক গ্রামে বিদেশ থেকে কয়েকজন লোক এলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গ্রামবাসী এক যুবককে ঠিক করল, যে ১০টা বছর বাড়ির বাইরে থেকে ইংরেজি পড়েছে। গ্রামবাসী জানত না, সে আসলে ইংরেজির কিছুই জানে না। বিশাল মিটিং। সবার মাঝখানে বিদেশিরা চেয়ারে। সঙ্গে ওই যুবক, সেও চেয়ারে। বিদেশি একটা ম্যাপ বের করলেন। ওই যুবককে ম্যাপের একটা জায়গা দেখিয়ে বললেন, ‘দিস ইজ ইওর ভিলেজ?’ যুবকটি কিছুই বুঝল না। বুদ্ধি খাটিয়ে বলল, ‘ইয়েস।’ বিদেশি বললেন, ‘দিস ইজ দ্য রিভার?’ যুবকটি আবারো বলল, ‘ইয়েস।’ এবার বিদেশি বললেন, ‘হেয়ার উইল বি অ্যা ব্রিজ?’ যুবক ভাবলো, দুই বার তো পরপর ইয়েস বললাম। এবারও ইয়েস বললে তো ভালো দেখায় না। সে বিদেশিকে বলল, ‘নো।’ সঙ্গে সঙ্গে ঠাস করে একটা চড় মারলেন বিদেশি। বললেন, ‘ব্যাটা, এই ইংরেজি শিখেছিস?’। বিদেশিরা চলে যাওয়ার পরে গ্রামবাসী ওই যুবককে ঘিরে ধরল- গ্রামবাসী : কী রে, তোকে চড় মারলো ক্যান? যুবক : বিদেশিরা বলছে, এত ভালো ইংরেজি জানার পরও তুই গ্রামে পইড়া আছস ক্যান? শহরে আয়, তোরে বিশাল চাকরি দিমু।এসইউ/আরআইপি
Advertisement