খেলাধুলা

উৎপল শুভ্রের ‘কল্পলোকে ক্রিকেটের গল্প’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

ডব্লিউ জি গ্রেস যদি আবার রক্তমাংসের রূপে দেখা দেন! টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বল করেছিলেন যিনি, সেই আলফ্রেড শ বা প্রথম সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান যদি ফিরে আসেন আবার।‘কল্পলোকে ক্রিকেটের গল্প’ বইয়ে ক্রিকেটের আদিকালের এই চরিত্রগুলোকেই জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। রোববার প্রথম আলোর কার্যালয়ে হয়ে গেল বইটির প্রকাশনা উৎসব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক তিন অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও হাবিবুল বাশার, ক্রিকেট কোচ ও লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী, ক্রীড়া সাংবাদিক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ক্রিকেট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ডক্টর নুরুল আনোয়ার ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ।প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকের সরস সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পাঠকদের সামনে ক্রিকেটের ইতিহাসকে গল্প আর আড্ডার ছলে উপস্থাপন করায় লেখক উৎপল শুভ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অতিথিরা। গাজী আশরাফ হোসেন এর মধ্যেই বইটি আংশিক পড়ে ফেলেছেন। তাতেই তার কণ্ঠে মুগ্ধতা, ‘গল্পের মতো করে লেখা ইতিহাসনির্ভর বইটি যতটুকু পড়েছি, তাতেই আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। অনেক অজানা কথা এই বইয়ের মধ্যে আমি পেয়েছি। ইতিহাসের মতো একটি নিরস বিষয়ও লেখকের রসবোধের ছোঁয়ায় উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।’বইটির সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রশংসা করে জালাল আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, “এটি উপন্যাস না ইতিহাস; তা নিয়ে লেখকের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তবে আমি বলব, ‘কল্পলোকে ক্রিকেটের গল্প’ উপন্যাসসম এক ঐতিহাসিক আখ্যান। এর গদ্যও টাঙ্গাইলের চমচমের মতোই সুস্বাদু।” ডক্টর নুরুল আনোয়ার আশা প্রকাশ করেছেন, এই বইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশেও ক্রিকেট ইতিহাসের চর্চা শুরু হবে। ক্রিকেটের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পেতে এই প্রজন্মের খেলোয়াড়-পাঠকদের বইটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাঈমুর রহমান ও হাবিবুল বাশার। একই আহ্বান মোহাম্মদ কামরুজ্জামানেরও। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ক্রিকেটের চর্চা বাড়াতে আরও বেশি করে ক্রিকেটের বই লিখতে হবে।’সবশেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বইয়ের লেখক উৎপল শুভ্র। একুশে বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে প্রথমার স্টলে (স্টল নং ১০২-১০৫)। মূল্য ৩০০ টাকা।এআরবি/এনইউ/জেআইএম

Advertisement