রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে; যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার এ গুণবাচক নামের জিকির করবে, সে জান্নাতে যাবে।’ তাছাড়াও এ গুণবাচক নামগুলোর আলাদা আলাদা অনেক আমল ও ফজিলত রয়েছে। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম (اَلْغَفُوْرُ) ‘আল-গাফুরু’।(اَلْغَفُوْرُ) ‘আল-গাফুরু’-এর অর্থ হলো- ‘সর্বাধিক ক্ষমাশীল; যিনি ক্ষমা ও মার্জনার অধিকার শুধুমাত্র তারই।’আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْغَفُوْرُ) ‘আল-গাফুরু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-উচ্চারণ : ‘আল-গাফুরু’অর্থ : ‘সর্বাধিক ক্ষমাশীল।’আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلْعَظِيْمُ)-এর আমলফজিলত >> কোনো ব্যক্তি অসুস্থ ও দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লে আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম (اَلْغَفُوْرُ) ‘আল-গাফুরু’ একটি কাগজে লিখে তার নকশাকে রুটি দিয়ে চুষে নিয়ে তা খেলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে অসুস্থতা ও দুঃশ্চিন্তা থেকে সুস্থতা দান করবেন।>> যারা আল্লাহ তাআলার গুণবাচক (اَلْغَفُوْرُ) ‘আল-গাফুরু’ মোবারক নামটির জিকির বেশি বেশি করবে; আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাদের অন্তরের অন্ধকার দূর করে দিবেন।হাদিসে এসেছে-কোনো ব্যক্তি যদি সিজদায় গিয়ে () ‘ইয়া রাব্বিগ ফিরলি’ তিনবার পড়বে; মহান আল্লাহ তার আগের এবং পরের সব গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন।তাছাড়া কোনো ব্যক্তির যদি মাথা ধরা বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলে বা কোনো দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে () ‘ইয়া গাফুরু’ তিনবার লিখে খেয়ে ফেলবে। আল্লাহর ইচ্ছায় ওই ব্যক্তির অসুস্থতাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।পরিশেষে...আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ছোট্ট আমলটির মাধ্যমে তাদের শারীরিক রোগ-ব্যাধি ও অন্তরের অন্ধকার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। মানুষের অন্তরে আল্লাহর তাআলার নূর বা আলো লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement