জাতীয়

তিন সিটির নির্বাচনে ১৮৩৩ প্রার্থী

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে এবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট এক হাজার ৮৩৩ জন। শুধু মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ২১ জন, দক্ষিণে ২৬ জন এবং চট্টগ্রামে ১৩ জন। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট এক হাজার ৭৭৩ জন।তবে রোববার বিকেলে শেষ মুহূর্তে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহীরা। চলমান আন্দোলনে নাশকতার মামলা থাকায় গ্রেফতার এড়াতে স্ত্রী-সন্তান, আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অনেক বিএনপি নেতা। এ নিয়ে বিএনপি শিবিরে কিছুটা আতঙ্কও বিরাজ করে।মনোনয়নপত্র জমা দিতে রোববার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অবরোধ বহাল রাখলেও হরতাল দেয়নি। সোমবার ভোর ৬টা থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকলেও আওতামুক্ত রাখা হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরকে।ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আনিসুল হক। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার বড় ছেলে তাবিথ এম আউয়ালও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে। এই সিটিতে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসসহ একই দলের চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।একইভাবে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম নিজ নিজ দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অবশ্য আওয়ামী লীগ তিন সিটিতে দল সমর্থিত একক মেয়র প্রার্থী দিলেও বিএনপি ঢাকায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে সমর্থন দেয়নি।ঢাকা উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ডে ৪৯৪ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৬৩২ জন এবং চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডে ২৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা উত্তরের ১২টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৩৫ জন, দক্ষিণে ১৯ ওয়ার্ডে ১৫৩ জন এবং চট্টগ্রামে ১৪টি ওয়ার্ডে ৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিন সিটির রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।আগামী ১ ও ২ এপ্রিল মঙ্গল ও বুধবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। ওই দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে, অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের আগে কোনো প্রার্থী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।কাগজে-কলমে এই নির্বাচনকে নির্দলীয় বলা হলেও বেশির ভাগ প্রার্থী আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভোটে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তিন সিটির প্রায় সবক`টি পদেই প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো পদে তাদের একাধিক প্রার্থীও রয়েছেন। তবে গ্রেফতার-আতঙ্কে তাদের পক্ষে আইনজীবী অথবা তাদের পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পাঁচজনের বেশি প্রার্থীর সঙ্গে না যাওয়ার বিধিনিষেধ থাকলেও তা বেশির ভাগই মানেননি। ইসি বিষয়টি কিছুটা শিথিলভাবে নিয়েছে। তিনি সিটির তিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা গেছে।এআরএস/এমএস

Advertisement