জাতীয়

গোয়েন্দা নজরদারিতে রাজস্ব আয় বেড়েছে

লৌহজাত ও ধাবতজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করায় ৪৩২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর আগে নজরদারি না থাকায় পণ্যের পরিমাণ ও ওজন গোপন করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন।রোববার রাজধানী মগবাজারে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, বিগত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ১২ হাজার ৫শ ২৮ কোটি টাকা আমদানির বিপরীতে ১ হাজার ৭শ’ ১৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।তবে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ নজরদারির কারণে চলতি অর্থবছরে ১২ হাজার ৪৬ কোটি টাকার আমদানির বিপরীতে প্রায় ২ হাজার ১ শ’ ৪৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।সার্বিক বিবেচনায় মিথ্যা ঘোষণা ও জাল-জালিয়াতি হ্রাস পাওয়ায় সরকারের প্রায় ৪৩২ কোটি টাকা রাজস্ব সুরক্ষা হয়েছে বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, লৌহজাত ও ধাতবজাত পণ্য(বিপি শিট/জিপি শিট) আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ ও ওজন ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় ২৭৭ টি অনিয়মের মামলায় মোট ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক আরও বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা বর্ণনা, কান্ট্রি অব অরিজিন, নিম্ন ভ্যালু ঘোষণাসহ নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। শিগগির তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।জালিয়াতির ক্ষেত্রে কি ধরণের অনিয়ম করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে ৩৪ টি ব্যাংক ডকুমেন্ট যাচাইয়ে ব্যাপক জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। অনুরুপ একটি তদন্তে ৯টি ব্যাংক এন্ট্রির ডকুমেন্টে জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। এই দুটি ঘটনায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।মংলা ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ লৌহজাত ও ধাতবজাত পণ্য (বিপি শিট/জিপি শিট) আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ ও ওজন ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২৬০টি অনিয়মের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ৩২.৯৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে। তিনি বলেন, মংলা কাস্টমস হাউজে মোট ১৬টি চালানের মাধ্যমে ২.১৭ কোটি এবং হিলি কাস্টমস স্টেশনে ১টি চালানে ৩৬ লাখ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।গত ২২ মাসে ১১৫ জনকে স্বর্ণ ও মুদ্রাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এছড়া পরিত্যাক্ত স্বর্ণ ও মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।তিনি বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কিছু লজিস্টিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ট্রায়াল জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।জেইউ/এএইচ/পিআর

Advertisement