মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের একদিন পর ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী সামরিক মহড়া শুরু করেছে। দেশটির উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সেমনানে শুরু হওয়া এই মহড়ায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন কমান্ডার হুমকি দিয়ে বলেছেন, শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য তারা ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করবে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জেরে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা আরোপের একদিন পর তেহরানে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সামরিক মহড়ায় এই হুমকি দিয়েছে দেশটি। ইরানের সেমনান প্রদেশের ৩৫ হাজার কিলোমিটার এলাকায় মহড়া শুরু করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রস্তুত বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার ব্যবস্থার মহড়া অনুশীলনে প্রদর্শিত হবে। গত মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার পর ওয়াশিংটন ও তেহরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে বলছে, তাদের মিত্র ও স্বার্থের ওপর ইরান আঘাত হানার চেষ্টা করছে। এদিকে, মার্কিন নতুন অবরোধ আরোপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেন্টাগনের প্রধান জেমস ম্যাটিস অভিযোগ করে বলেন, ইরান বিশ্বের একক বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ইরানের ওপর। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ইউনিটের প্রধান ব্রি. জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সিকে বলেন, ইরানের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা দিন-রাত কাজ করছি। আমরা যদি শত্রুর ক্ষুদ্রতম ভুল পদক্ষেপও দেখি, তাহলে আমাদের গর্জনশীল ক্ষেপণাস্ত্র তাদের মাথার ওপর গিয়ে পড়বে। ইরানের মধ্যম মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ২ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। ইসরায়েল অথবা উপসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটিতেও আঘাত হানতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলছে, শনিবারের অনুশীলনে যেসব ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া অনুষ্ঠিত হবে; সেগুলো ৭৫ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইল সিস্টেম, রাডার, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল কেন্দ্র এবং সাইবার যুদ্ধ সিস্টেমের পরীক্ষা চালানো হবে সামরিক মহড়ায়। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, এএফপি।এসআইএস/জেআইএম
Advertisement