বাংলাদেশে প্রতিদিন নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন ৩৩৪ জন করে আর মারা যাচ্ছেন প্রায় ২৫০ জন রোগী। সচেতনতা থেকে শুরু করে সরকারের পদক্ষেপ, প্রতিটি উদ্যোগই এই ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করতে পারে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিসিপিআর)। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ক্যান্সার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের ক্যান্সার ও ইপিডেমিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার। ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবসকে সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) অনুমিত হিসেব অনুযায়ী প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ২২ হাজার (প্রতিদিন ৩৩৪) মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, মারা যান ৯১ হাজার (প্রতিদিন ২৫০)। যেকোনো দেশে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য দরকার ক্যান্সারের আক্রান্তের হার, মৃত্যুহার, কারা কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত সে সম্পর্কে সঠিক পরিসংখ্যান। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, সরকারের সেক্টর কর্মসূচিতে আমরা এতদিন জনসংখ্যাভিত্তিক নিবন্ধন অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন তদারকির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের‘জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল’ প্রায় অকার্যকর বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সার নির্ণয়ের এক বছরের মধ্যে শতকরা প্রায় ৭৫% রোগী মারা যাচ্ছে, না হলে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্যান্সার পরিস্থিতি উত্তরণের কয়েকটি উপায় ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশে ক্যান্সার পরিস্থিতি উত্তরণে ক্যান্সারের লক্ষণগুলি বিশেষ করে ৭টি সতর্ক সংকেত ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করতে হবে। ক্যান্সারের প্রাথমিক প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিসিপিআর-এর নির্বাহী পরিচালক মোছাররত জাহান সৌরভ। এআর/এনএফ/এমএস
Advertisement