যুক্তরাষ্ট্রের আল-কায়েদা ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার সাফাই গেয়ে হোয়াইট হাউস বলছে, ভেবে-চিন্তেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। রিপ্রাইভ নামে একটি সংগঠনের হিসাবে শনিবার ইয়াকলা জেলার একটি গ্রামে চালানো ওই হামলায় ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন; যার মধ্যে ১০ শিশুও রয়েছে। ২০১১ সালে মার্কিন হামলায় প্রাণ হারানো জঙ্গি আনোয়ার আল-আওলাকির মেয়েও ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে বলে খবর রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো এটিই প্রথম হামলা। মার্কিন সেনাবাহিনী তাদের এক সৈন্যের নিহত হওয়ার খবরও দিয়েছে। তারা বলছে, আরো তিনজন আহতও হয়েছেন। পরে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান। মার্কিন সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার থেকে চালানো ওই হামলায় ১৪ জঙ্গি নিহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজন আল-কায়েদা নেতাও রয়েছেন। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র ওই হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়িয়ে এরকম কাজে সাফল্য পাওয়াও কঠিন। তিনি আরো বলেন, কিন্তু বিষয়টির দিকে যদি সামগ্রিকভাবে দৃষ্টি দেয়া যায়, তবে দেখা যাবে- আমাদের যা অর্জন তাতে ভবিষ্যতে মানুষের প্রাণহানি কমবে। আমার মনে হয় সব দিক থেকে এটি সফল অভিযান। তবে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। বৃহস্পতিবার রিপ্রাইভ জানায়, ওই হামলায় যে ১০ শিশু নিহত হয়েছে তাতের নবজাতক এক শিশুও রয়েছে। সংগঠনটি আরো জানিয়েছে, ওই হামলায় গর্ভবতী এক নারী পেটে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি আহত শিশুর জন্ম দেন, শিশুটি পরে মারা যায়। হামলার কিছুক্ষণ পরই সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত শিশুদের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের সুবিধা নিয়ে দেশটির দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে আল-কায়েদা। গেল দুই বছর ধরে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত বাহিনীর সঙ্গে হুথি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। এনএফ/পিআর
Advertisement