জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমি এখন কোনো বক্তব্য দেবো না, যা বক্তব্য আছে তা কাগজ (নকল) তুলে দেবো। বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শুনান। এ সময় বিচারক তাকে (খালেদা) প্রশ্ন করেন আপনি দোষী না নির্দোষী। তখন খালেদা জিয়া বলেন, আমার আইনজীবীরা আপনার প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন। আমিও আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার প্রতি অনাস্থা দিলাম। আপনি জোর করে আত্মপক্ষ সমর্থন করছেন। তা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। এর আগে সোমবার একই কারণে সময়ের আবেদন করেন খালেদা। আদালত সময়ের আবেদনটি শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। ২৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও এম হেলাল উদ্দিন।অপরদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার আসামি খালেদা ও তারেকের জামিন বাতিলের আবেদন করেন।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং খালেদা জিয়া যদি সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আদালতে হাজির না হয় তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।এ দিন মামলার আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।জেএ/জেএইচ/পিআর
Advertisement