আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষই ট্রাম্পকে সমর্থন করেন

অভিবাসীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ যেসব নির্বাহী আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করেছেন সেগুলো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনমত জরিপ বলছে, বেশিরভাগ মার্কিন নাগরিকই তার এসব আদেশ সমর্থন করছেন। খবর বিবিসির।যদিও তাদের বড় একটি অংশ মনে করেন মুসলিম শরণার্থীদের বাদ দিয়ে খৃষ্টানদের অগ্রাধিকার দেয়াটাও ঠিক হবে না। ট্রাম্পের এসব আদেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের পর এরকম বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তিনি।অর্থ, স্বাস্থ্য আর অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প সেই সিদ্ধান্ত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডেমোক্রেট সিনেটররা। যদিও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে এই নিয়োগ অনুমোদিত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ডেমোক্রেটদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে কলোরাডোর ফেডারেল আপিল কোর্টের বিচারক নিল গরসাচকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। গরসাচ দেশের সংবিধানকে সমুন্নত রাখবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।সিনেটের অনুমোদন পেলে গরসাচ প্রয়াত বিচারপতি অ্যান্টোনিন স্কালিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন। একবছর আগে বিচারপতি স্কালিয়া মারা গেছেন। তবে সিনেটে ডেমোক্রেট নেতা ডাক শুবার বলেছেন, গরসাচের বিষয়ে তার গুরুতর সংশয় রয়েছে।তার এই নিয়োগের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের পর বিচারপতিরা আজীবনের জন্য দায়িত্ব পালন করেন।রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে যেকোনো বিরোধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে সুপ্রিম কোর্ট। মৃত্যুদণ্ডের বিষয়েও এই আদালতের রায়ই চূড়ান্ত।ধারণা করা হচ্ছে, ভোটাধিকার, গর্ভপাত, রাষ্ট্রনীতিতে বর্ণবাদ বা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির মতো বিষয়গুলো সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে আসবে। এ কারণেই বিচারপতি নিয়োগ এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। টিটিএন/পিআর

Advertisement