খেলাধুলা

বাবা-মা পুরস্কার গ্রহণ করায় বেশি খুশি কৃষ্ণা

প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে তখন ক্রীড়াঙ্গনের বরণ্যে সব মানুষ। সংগঠক, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ডাকসাইটের ব্যবসায়ীরা। জমকালো অনুষ্ঠানের আলো ঝলমলে মঞ্চে উঠলেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের উত্তর পাথালিয়া গ্রামের কৃষক বাসুদেব সরকার ও তার স্ত্রী নমিতা রানী সরকার। তুমুল করতালির মধ্যে তারা গ্রহণ করলেন কন্যা কৃষ্ণা রানী সরকারের পুরস্কার। বাবা-মায়ের অহংকারের কন্যাটি তখন আকাশে-জাপান থেকে ফিরছেন জন্মভূমিতে। বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির ২০১৬ সালের উদীয়মান নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পাওয়া কৃষ্ণার অনুপস্থিতি তার বাবা-মাকে টেনে এনেছে ঢাকায়।অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের পর থেকে পুরস্কার নিয়ে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আনন্দে চিকচিক করছিল বাসুদেব সরকার ও তার স্ত্রী নমিতা রানী সরকারের চোখগুলো। এমন একটা অনুষ্ঠানে ছিলেন না কৃষ্ণা রানী। অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়ক তখনো যে পা রাখেননি দেশের মাটিতে। জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জে-গ্রীন সাকাই অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল ফেস্টিভাল শেষ করে আকাশে উড়ছিলেন। আর হয়তো নিজেকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছিলেন হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে। যেখানে ছিলেন তার গর্বিত বাবা-মা। তারই পুরস্কার গ্রহণের অপেক্ষায়।কালতো দারুণ অনুষ্ঠান মিস করলেন। খারাপ লাগছে নিশ্চয়ই নিজ হাতে এমন একটি স্বীকৃতির পুরস্কার গ্রহণ করতে না পারায়? ‘না, কোনো খারাপ লাগেনি। বরং অনেক ভালো লাগছে এমন একটি অনুষ্ঠানে আমার বাবা-মা ছিলেন। শত শত গুণীজনের উপস্থিতিতে মঞ্চে উঠে আমার পুরস্কার নিয়েছেন। আমার কাছে এর চেয়ে বেশি গৌরবের কি হতে পারে। আমি উপস্থিত থাকলে তাদের হয়তো আনতে পারতাম না। তারা আসতেন না। আমার পুরস্কার আমার বাবা-মা গ্রহণ করেছেন যা আমার কাছে সবচেয়ে গর্বের। আমি বরং বেশিই খুশি হয়েছি’-হাসতে হাসতে জাগো নিউজকে বলছিলেন দেশের নারী ফুটবলের অন্যতম এ তারকা।বাব-মা’র সঙ্গে মঙ্গলবার সকালেই দেখা হয়েছে কৃষ্ণার। ‘রাতে তারা ঢাকায়ই ছিলেন আমাদের এক আত্মীয়র বাসায়। সকালে দুইজন বাফুফে ভবনে এসে দেখা করে গেছেন’-বলেছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। এ ধরনের পুরস্কার তাকে অনুপ্রেণিত করবেন বলেই আশা করছেন অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়ক।আরটি/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement