ব্যবসা, সরকার ও বিশ্বপ্রেমে অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারীদের নিয়ে সম্প্রতি ৫০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে `ফরচুন ম্যাগাজিন`। এই সেরা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০১৫ সালের `ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট লিডারস` শীর্ষক প্রচ্ছদে ৫০ জন ব্যক্তিত্বের মধ্যে ৫ নম্বর স্থানে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ২৮ নম্বর আছেন নোবেল বিজয়ী সত্যার্থী। তালিকার শীর্ষে আছেন অ্যাপেলের সিইও তথা স্টিভ জোবসের উত্তরসূরি টিম কুক।মূলত ওই তিনটি বিভাগে গত বছর যাঁরা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সেরা কাজ করেছেন তাদের নিয়েই তৈরি হয়েছে এই তালিকা। তবে উপর্যূপরি দু`বার তালিকায় নেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার নাম! গতবারেও ছিলেন না তিনি।ম্যাগাজিনের বক্তব্য, যাঁরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কাজ করেছেন, এই তালিকায় শুধু তারাই স্থান পেয়েছেন। কিন্তু গত বছর বারাক ওবামা শুধুই আত্মসমর্পণ করেছেন, তাই এ বারেও তালিকায় তার ঠাঁই হয়নি।নরেন্দ্র মোদী প্রসঙ্গে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচারে মোদী যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলো ইতিমধ্যেই রাখতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি দেশে ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ গঠন, মহিলাদের উপর নির্যাতন কমানো, পরিবেশ পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার মান বজায় রাখা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে তিনি সত্যিকারের পদক্ষেপ করেছেন। তবে দূর্নীতিগ্রস্ত আমলাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে শক্তিশালী ভারত গড়ে তুলতে আরও অনেকটা পথ মোদীকে হাঁটতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছে ফরচুন।ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ আরো বলছে, মোদী ওই আমলাদের নজরে রাখছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সরকার পরিচালিত ব্যবসার বৃহৎ জগতটাকে বেসরকারিকরণের জন্য মোদী যেভাবে লড়ছেন, সেটাও মোদীর প্রথম পাঁচে আসার ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আগামী ২ বছরে আইএমএফের হিসেব অনুযায়ী চীনের তুলনায় ভারতের উন্নতি বেশি হবে বলে উল্লেখ করেছে ফরচুন।অন্যদিকে, নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত সত্যার্থীকে নিয়ে ফরচুনের বক্তব্য- সর্বকনিষ্ঠ নোবেল প্রাপ্ত মালালা ইউসুফজাই তাঁর সঙ্গে ২০১৪ নোবেল শান্তি পুরস্কার ভাগ করে নেওয়ায় প্রচারের আলোটা কমই পড়ে কৈলাশের উপর। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শিশু শ্রম নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। শ্রম থেকে শিশুদের বাঁচাতে তাঁর মতো লড়াই কেউ করেনি বলে দাবি ফরচুনের।`ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট লিডারস` শীর্ষক প্রচ্ছদে ৫০ জন ব্যক্তিত্বের মধ্যে আছেন যাঁরা-ফরচুনের এই তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে আছেন- ইউরোপের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মারিও ড্রাঘি। তারপরে আছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (৩), পোপ ফ্রান্সিস (৪), জেনারেল মোটরসের সিইও ম্যারি বারা (৯), স্টারবাকসের সিইও হাওয়ার্ড শুলজ (১৭), বিল ও মেলিন্দা গেটস (যুগ্মভাবে ১৮), ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ (২৫), জে পি মর্গ্যানের সিইও জামি ডিমন (৩৮), উবের সিইও ট্র্যাভিস কালানিক (৪৪)।এঁরা ছাড়াও এই তালিকায় আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত `লাস্ট মাইল হেল্থ`-এর রাজ পঞ্জাবি (৩৪)। তিনি বর্তমানে লাইবেরিয়ার বাসিন্দা। এখন লাইবেরিয়া সরকারের সঙ্গে `ন্যাশনাল কমিউনিটি হেল্থ ওয়ার্কার` কর্মসূচীর জন্য কাজ করছেন তিনি।আরএস/পিআর
Advertisement