তথ্যপ্রযুক্তি

প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাচ্ছে তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সেবা পৌঁছে দিতে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) লাইসেন্স পাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিকে এ লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য ফি ও চার্জ প্রদানসাপেক্ষে এ লাইসেন্স পাবে বিটিসিএল।জানা গেছে, লং টার্ম ইভোলুশন (এলটিই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে আগ্রহী বিটিসিএল। এজন্য ২ হাজার ৩০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৩৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দের আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির পাশাপাশি বিডব্লিউএ লাইসেন্সের আওতায় এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।নীতিমালা অনুযায়ী, ফি জমাদানের নির্দেশদানের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লাইসেন্স ফির ৫০ শতাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই নিলামের দর অনুযায়ী লাইসেন্স নিতে বলা হলেও বিটিসিএল আর্থিক কারণ দেখিয়ে ফি জমাদানের সময় বাড়ানোর আবেদন করে। পর্যায়ক্রমে এ অর্থ পরিশোধের সুযোগ চায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে লাইসেন্স নেয়া দুটি অপারেটরই নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স নিয়েছে। ফলে বিটিসিএলের জন্য এটি শিথিল করার সুযোগ নেই বলে জানায় কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিডব্লিউএ লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য বিটিআরসির কাছে আবেদন করে। এজন্য আবেদন ফি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জমা দেয়া হয়।বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএলকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হলে তা এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নীতিমালার শর্ত মেনেই লাইসেন্স ফি প্রদান করেছে। বিটিসিএলকেও এসব ফি ও চার্জ প্রদানসাপেক্ষে বিডব্লিউএ লাইসেন্স প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বিটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর, উপজেলা ও গ্রোথ সেন্টারে পর্যায়ক্রমে তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন (ফোরজি, এলটিই)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিসিএল। এজন্য কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ইডিসিএফের সঙ্গে প্রাথমিক ঋণচুক্তিও সই হয়েছে। গত বছরের মে মাস থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে স্থানীয় উত্স থেকে সংগ্রহ করা হবে ১৮২ কোটি টাকা। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স ফি বাবদ ২৫০ কোটি প্রদান করতে হলে প্রকল্পের ব্যয় আরো বাড়বে।বিডব্লিউএ লাইসেন্সের আওতায় বর্তমানে দেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। বাংলালায়ন, কিউবি এবং ওলো ব্র্যান্ড নামে এ সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠান তিনটি। ২০০৮ সালে নিলামের মাধ্যমে লাইসেন্স পায় বাংলালায়ন ও কিউবি। ২০১৩ সালে এ লাইসেন্সের আওতায় সেবা চালু করে ওলো।এসএইচএ/আরআইপি

Advertisement