রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান শিশিরের মাদক সেবনের একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রোববার ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় পর অনেকেই ফেসবুকে সেটি শেয়ার করছেন। ভিডিওটি কবে এবং কোথায় ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিশির।ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি রুমের ভেতর ৩/৪ জন বসে আছেন। সেখানে শিশির সিগারেটের মত করে নেশা জাতীয় কিছু একটা টানছেন। আর গোপনে তার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে।সোমবার “রংপুর বিভাগ” নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি শিশিরের ইয়াবা সেবনের শৈল্পিক দৃশ্য...মাদক থাবা থেকে তরুণ সমাজকে রুখতে আমার, আপনার এবং সেই সঙ্গে প্রশাসনের কীভাবে এগিয়ে আসা উচিত? কী পন্থা অবলম্বন করলে আমরা মাদকমুক্ত দেশ পেতে পারি?মাদক মুক্ত সমাজ চাই. সর্বনাশা মাদকদ্রব্য আমাদের গোটা সমাজকে গ্রাস করেই চলেছে। মাদক নিয়ে অতীতে অনেক লেখালেখি হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে। তবুও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদকের বিরুদ্ধে যতই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, ততই অভিনব কৌশলে বাড়ছে এর ব্যবহার।রংপুর টাউন হল থেকে শুরু করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যে সব তরুণ প্রজন্ম মাদক সেবন করছে এবং বিক্রি করছে তারা বাইরের কেউ নয়। বর্তমান সরকারের সোনার ছেলে। রাজনৈতিক নেতা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী? রংপুর বাসী দেখতে আগ্রহী। আমরা শুধু মুখে বলি “মাদক মুক্ত সমাজ চাই”। “মাদককে না বুলন”। আসলে আমরা কতুটুকু পেরেছি সফল হতে?বাস্তবে এর প্রমাণ করে দেখাতে হবে, এজন্য প্রয়োজন পুলিশ প্রশাসনসহ সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতা। শেয়ার করে জানিয়ে দিন। শিশিরের ব্যবস্থাই বা কী?এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান শিশির জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডারসহ বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্বের জেরে একটি পক্ষ তাকে ফাঁসাতে চায়ের সঙ্গে কিছু খাইয়ে এ ধরণের ভিডিও ধারণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শিশিরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিতু কবীর/আরএআর/এমএস
Advertisement