শিক্ষা

তৃতীয় দফায় বাড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সময়সীমা

তৃতীয় দফায় বাড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির সময়কাল। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকের ভুল-ত্রুটি ও নানা অসঙ্গতির পেছনে কারণ ও জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই লক্ষ্যে গত ১২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সমন্বয়ে ৭ কার্যদিবস মেয়াদে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রকাশিত ২০১৭ সালের পাঠ্যপুস্তকে নানা ভুলত্রুটি, অসঙ্গতি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বির্তকের মধ্যে পড়ে মন্ত্রণালয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।কমিটির অন্য সদস্য দু’জন হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মাহমুদুল ইসলাম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক)। এ কমিটি সাত কর্ম-দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও দ্বিতীয় দফায় সাতদিন এবং তৃতীয় দফায় ১০ দিন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। যদিও দ্বিতীয় দফার মেয়াদ আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ কথা রয়েছে।সূত্র জানায়, তৃতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধিতে আজ সোমবার এই মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসেনের সঙ্গে কমিটির সদস্যরা জরুরি বৈঠক করেছেন। সেখানে তদন্ত কাজ শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলে তারা আরও ১০ দিন সময় চেয়েছেন। শিক্ষা সচিব এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত পরিবর্তন ও অসঙ্গতির বিষয়টি পূর্ব-পরিকল্পিত। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিতর্কের মধ্যে পড়ায় লোক দেখানো কমিটি করা হয়েছে। এখন নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এ কারণে বারবার কমিটির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব রূহী রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পাঠ্যপুস্তকের বিষয়টি অনেক জটিল পর্যায়ে রূপ নিয়েছে। আমরা নিবিড়ভাবে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। এ কারণে কমিটির মেয়াদ তৃতীয় দফায় আরও ১০ দিন বাড়ানো হচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়গুলোর পেছনে কারণ ও ব্যক্তিদের শনাক্তের কাজ করছি। বর্তমানে তদন্ত কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাকি সময়গুলোতে আমরা প্রতিবেদন ও সুপারিশ তৈরির জন্য চেয়েছি।উল্লেখ্য, পাঠ্যপুস্তক কেলে‌ঙ্কারির পেছনে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে এনসিটিবি। সাত কার্যদিবসের এ কমিটি করা হলেও তৃতীয় দিনে তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের একজন ডিজাইনার ও দুই কর্মকর্তাকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। বিষয়গুলো আরও নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সাত কার্যদিবস মেয়াদের একটি কমিটি গঠন করে। আগামী সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার।এমএইচএম/বিএ

Advertisement