দলীয় পরিচয়হীন সবার কাছে আস্থাবান এমন একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার কোনো বিকল্প নেই বলেও মত দেন তারা।সোমবার সন্ধ্যায় সার্চ কমিটির সভা শেষে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সামনে সাংবাদিকদের তারা এ কথা বলেন।তারা বলেন, আমাদের পরামর্শ (লিখিত ও মৌখিক) উভয়ভাবে শোনা হয়েছে। এখন একজন সৎ, গ্রহণযোগ্য, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত গ্রেট ইসি গঠন হবে বলে আশা করছি।সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেন, দৃঢ়চেতা লোককে বাছাই করতে হবে। যাতে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। অযোগ্যদের নিয়োগ দেয়া হলে ফল ভালো হবে না। সবাই একটা অভিন্ন মত দিয়েছেন যে কোনোভাবেই রাজনৈতিক লোক নিয়োগ দেয়া হবে না। আমরা বাছাইয়ের কর্মপদ্ধতি ও গাইড লাইনের কথা বলেছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, দেশে আগামী দুই মাসের মধ্যে এমন কোনো নির্বাচন নেই যার জন্য ইসি গঠন করতেই হবে। এ কারণেই আগে আইন পরে ইসি গঠন হলে বিতর্ক কম হবে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আইন পরে করলেও হবে।সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দক্ষ ও দলীয় পরিচয় নেই এমন লোক দিতে হবে যার ওপর সব মানুষের আস্থা থাকবে। আমরা বিশেষ করে সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা বলেছি কোনোভাবেই তিন সদস্যের বেশি ইসি গঠন করা ঠিক হবে না। বেশি সদস্যের ইসি করা হলে সমন্বয়ে অসুবিধা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সেক্টর থেকে নিয়োগের সুপারিশের কথা বলেছি। আমরা ইসি গঠনের জন্য আইন করার পক্ষে মত দিয়েছি।সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেইন বলেন, কী কী গুণাবলির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন সদস্যের বেশি হলে কাজে সমস্যা হয়। এছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রে পদপর্যাদার কথা মাথায় রাখতে হবে। কাছাকাছি পদমর্যাদার লোক হলে সমস্যা হয় না।সার্চ কমিটির ওপর আস্থা নিয়ে কথা উঠেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সার্চ কমিটি যে আস্থাশীল হতে পারে তার একটা প্রমাণ হলো আমাদের (বিশিষ্ট নাগরিক) ডেকেছে। এটা তাদের একটা স্বচ্ছতার পরিচয়। আমরা আইন করার পক্ষে মত দিয়েছি।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সার্চ কমিটি ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওনাদের মূল্যবান পরামর্শ ও বক্তব্য শুনেছেন। তারা ইসি ও সিইসি বাছাইয়ে কী গুণাবলি হতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো আমরা রেকর্ড করেছি। ওনাদের পরামর্শের সার সংক্ষেপ হলো নির্বাচন কমিশনে যারা নিয়োগ পাবেন তারা সৎ দক্ষ এবং পর্ষদটি পরিচালনার জন্য একটি ভালো টিম হবে। এ রকম লোক যেন বাছাই করা হয়। সার্চ কমিটি আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে ১ ফেব্রুয়ারি বসবেন।তিনি বলেন, সোমবার পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল নামের প্রস্তাব পাঠায়নি। এ কারণে নামের তালিকা জমা দেয়ার সময় বেলা ১১টা থেকে বাড়িয়ে ৩টা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নাম জমা দিতে পারবে।মো. সফিউল আলম জানান, ১ ফেব্রুয়ারি আবারও বেলা ১১টার দিকে আরও পাঁচজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিটি। পরামর্শ চাওয়ার জন্য।এফএইচ/এএইচ/বিএ
Advertisement