বিশেষ প্রতিবেদন

মুচকি হেসে খালেদা বললেন- যদি গাড়ি না থাকে…

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুচকি হেসে বললেন, ‘যদি গাড়ি না থাকে তাহলে তো বেবিট্যাক্সি করে কুয়েত অ্যাম্বাসিতে গিয়ে মামলার তদন্ত করতে হবে।’সোমবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন তিনি। এদিন ছিল জিয়া অরফানেজ মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন। বেলা ১১ টা ১১ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হন।এ সময় তার আইনজীবীরা মামলাটি পুনঃতদন্ত করার আবেদন করেন।শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান বলেন, মামলাটির তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি পুনঃতদন্তের প্রয়োজন।তিনি শুনানিতে বলেন, মামলার ৩০ ও ৩১ নাম্বার সাক্ষী প্রমাণ করতে পারেনি এতিমের টাকা কুয়েত থেকে এসেছে।তাই কুয়েত অ্যাম্বাসিতে গিয়ে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা প্রয়োজন।তদন্ত করতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ দিন।এতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বেবিট্যাক্সিতে গিয়েও তদন্ত করে আসতে পারেন।অপরদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন বেবিট্যাক্সি করে কুয়েত অ্যাম্বাসিতে গিয়ে মামলাটি তদন্ত করে আসতে।এ সময় দুদকের আইনজীবীকে লক্ষ্য করে বেগম খালেদা জিয়া মুচকি হেসে বলেন, যদি গাড়ি না থাকে তাহলে বেবিট্যাক্সি করে গিয়ে তদন্ত করবে।আমি একটু সময় চাইআত্মপক্ষ সমর্থনে বেগম খালেদা জিয়ার নাম ঠিকানা বলার পর যখন আদালত বললেন, আপনার বয়স কত? তখন বেগম খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে বিচারককে বলেন, আমাকে একটু সময় দেন। আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আজ প্রস্তুত নই।এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী ও জয়নাল আবেদীন বিচারককে বলেন, আমরা আপনার কাছে দুইদিন সময় চাই।আমরা সিনিয়ররা মামলার বিষয় নিয়ে বসবো। তখন বিচারক বলেন, আজ আত্নপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে।এ কার্যক্রম শেষে হলে আপনাদের আবেদনটি শুনবো।আমার কাজ আমাকে করতে দেন।এমন কথা শুনে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনার প্রতি অনাস্থা দেব। আপনার আদালতে ন্যায়বিচার পাব না। এ সময় বিচারক বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির দিন ধার্য করেন।তিনি বলেন, ওইদিন সকল আসামিকে উপস্থিত হতে হবে। আর আপনাদের আবেদনের বিষয়টি ওইদিনই শুনবো এবং সিদ্ধান্ত দেব।এরপর খালেদা জিয়া বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ আদালত ছেড়ে চলে যান।জেএ/ওআর/আরআইপি

Advertisement