যোগ্যতা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ওই শিক্ষকের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য,(শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) এবং নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক খন্দকার তোফায়েল আহমেদকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারোয়ার পায়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।এর আগে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক পদে আরেক আবেদনকারী এইচ এম মিরাজ সৌরভ।রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২ জুলাই ঢাবির দর্শন বিভাগে দু’জন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে যোগ্যতা চাওয়া হয় সিজিপিএ (কিউম্যুলেটিভ গ্রেড পয়েন্টস অ্যাভারেজ)-৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২৯ ডিসেম্বর দু’জনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয় দর্শন বিভাগ। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত দু’জনের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের সিজিপিএ-৩.১৯। ফলে তিনি এ পদের অযোগ্য বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।আইনজীবী সারোয়ার পায়েল বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে নিয়োগ দেয়ায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবদেন প্রকাশ হয়। এরপরও কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের নিয়োগ বহাল রাখে। তিনি বলেন, যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারী থাকার পরও অযোগ্যকে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করেছে। এতে মেধার অবমূল্যায়ন ঘটেছে। রিট আবেদনকারী এইচ এম মিরাজ সৌরভের সিজিপিএ-৪.৫০ থাকার পরও তিনি নিয়োগ পাননি। ফলে খন্দকার তোফায়েল আহমেদ সিজিপিএ-৩.১৯ নিয়ে নিয়োগ পাওয়ায় তার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এফএইচ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement