মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ এখন শঙ্কা নয়, বাস্তবতা। এমন মন্তব্য করেছে চীন। ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো নীতি চীনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিলে বসে থাকবে না চীন। এসব কথা মাথায় রেখে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে চীনা সেনারা। তাই যে কোনো সময়ই বাজতে পারে যুদ্ধের দামামা। ট্রাম্পের অভিষেকের দিন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) এক কর্মকর্তা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছিলেন, এশিয়ায় প্রেসিডেন্টের নীতি উত্তেজনাপূর্ণ। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের মেয়াদে যুদ্ধ অথবা আজ রাতেই যুদ্ধ ঘোষণা এখন শুধুমাত্র শ্লোগান নয়। এটা এখন বাস্তবেও সম্ভব।তাইওয়ানের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা, দক্ষিণ এবং পূর্ব চীনা সাগরে মার্কিন সেনা মোতায়েন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতে এশিয়ায় মার্কিন কৌশল পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। চীনা-মার্কিন সম্পর্ক সম্ভাব্য পতনের কথা চিন্তা করে বেইজিং ইতোমধ্যেই নতুন করে সমুদ্র ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সিন স্পাইসার বলেছেন দক্ষিণ চীন সাগরের কোনো অঞ্চল চীন দখলের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয়া হবে। দক্ষিণ চীন সাগর প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান ব্যক্ত করে স্পাইসার বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা সেখানে আমাদের স্বার্থ অবশ্যই রক্ষা করব। ওই জলসীমা চীনের একার সম্পত্তি নয়। এটা আন্তর্জাতিক জলসীমা। আন্তর্জাতিক একটি অঞ্চল আমরা একটি দেশকে ভোগ করা থেকে বিরত রাখব। আমরা অবশ্যই এটা নিশ্চিত করব। এর প্রেক্ষিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যা বলছে এবং যা করছে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে ওই এলাকার শান্তি এবং স্থিতিশীলতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে। টিটিএন/এমএস
Advertisement