বিশ্বের সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ৯০দিনের জন্য এবং সিরীয়দের ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ধ থাকবে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাকিস্তানসহ আরো বেশ কিছু দেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইনসে প্রিয়েবাস সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, আরো বেশ কিছু দেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হতে পারে। পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের মতো একই ধরনের সমস্যা রয়েছে এমন দেশগুলো নিয়ে আবার ভাবতে হবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নয় বলে উল্লেখ করেছেন রেইনসে। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুধুমাত্র সেসব দেশকে চিহ্নিত করেছেন যেসব দেশে সন্ত্রাস স্থান পাচ্ছে এবং যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তিনি আরো বলেছেন, তারা যে সাতটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছেন সেই দেশগুলো কংগ্রেস এবং ওবামা প্রশাসনের কাছেও সন্ত্রাসবাদের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। এদিকে, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এর একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেন। আইনজীবী অ্যান ডোন্নেলি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক বলে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) বলছে, ‘আমেরিকান জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাভাবিকভাবেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব নির্বাহী আদেশ কার্যকর করা হবে।’হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও বলেছেন, আদালতের রায়ে কোনো কিছুই নেই, যা নির্বাহী আদেশকে বাধা দিবে। প্রেসিডেন্টের আদেশ পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে।টিটিএন/এমএস
Advertisement